জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় ১২ বছরের দণ্ডের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণির আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ২০০৭ সালের পর যিনি ‘বনের রাজা’ হিসেবে পরিচিতি পান। এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতের দেওয়া ১২ বছরের দণ্ড বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আজ মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে, ২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক এ কে এম আরিফুর রহমান তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে স্বামীকে ‘দুর্নীতিতে সহযোগিতা’ করার ওসমান গণির স্ত্রীকে মহসিন আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মহসিন আরা পলাতক থাকায় তিনি আপিল করেননি।
এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পর ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।
পরে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন। যেটি মঙ্গলবার খারিজ হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ২০০৭ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওসমান গনির উত্তরার সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চালের ড্রাম, বালিশ ও তোষকের ভেতর থেকে এক কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। এরপরই ওসমান গনিকে গ্রেফতার করা হয়।
২০০৭ সালের ২৬ জুলাই ওসমান গনি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা করে দুদক।