পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় পল্টন থানা ছাত্রলীগ সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ৯ জনকে এক দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছিন আহসান চৌধুরী শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলেন- পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন রিমন, ওয়াহিদুল ইসলাম, আরিফ, শেখ রহিম, রাসেল, শাহ্ আলম চঞ্চল, আরিফ হোসেন, কাওসার আহমেদ সাইফ ও মোয়াজ্জেম।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন (উপপরিদর্শক) সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে তাদেরকে আদালতে হাজির করেন।
আসামি পক্ষে আইনজীবী আবদুর রহমান হাওলাদার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন শুনানি করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে একদিনের রিমান্ডে পাঠান।
অন্যদিকে থানার ৩৯ নম্বর মামলার ৭ আসামির রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার তাদের জামিন শুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই ৭ জন হচ্ছেন- বিএম আসলাম হোসেন, মেহেদী হাসান, জুয়েল, শরিফুল ইসলাম, সোহেল তালুকদার, সম্রাট ও সাখাওয়াত হোসেন।
এর আগে, বুধবার পল্টনের আযাদ সেন্টারে একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে অর্থ আত্মসাৎ, ভাঙচুর ও পুলিশকে মারধরের ঘটনায় পল্টন থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ নাজমুল হোসাইন মিরনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
পল্টন থানার ৩৯ নম্বর মামলায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং সেই অর্থ চাইতে গেলে বাদী আসলাম আহসান তুষারকে মারধর করার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলার এজাহারে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে তুষার ও তার আত্মীয়দের কাছ থেকে ২০১৮ সালে ১০ লাখ ৮০ হাজার অর্থ আত্মসাৎ করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০৬, ৪২০, ৫০৬, ৩২৩ এবং ৪৪২ নং ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে।
পল্টন থানার যেই মামলায় ৯ জনকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সেটির বাদী এসআই আশরাফুল হক।
এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ২২ তারিখ সন্ত্রাসীরা ভাঙচুর করছে এমন তথ্য পেয়ে পল্টনের আযাদ সেন্টারে বিশ্বাস ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল ভবনে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে পুলিশ দেখে আসামিরা অফিসের চেয়ার, টেবিল ও কম্পিউটার ভাঙচুর করছে। বাদী (এসআই আশরাফুল হক) আসামিকে ভাঙচুর না করার অনুরোধ করলে তারা পুলিশকে মারধর করে। সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে আক্রমণের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়।