আওয়ামী লীগের নির্বাচনি মিছিলে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যাওয়া ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান আইনজীবীদের স্পিরিট (প্রেরণা) ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্যতম সংবিধান প্রণেতা ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ভবনের শহীদ শফিউর রহমান মিলনায়তনে আয়োজিত শোক সভায় মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এই শোকসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সুপ্রিম কোর্ট শাখা।
ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে নজিবুর রহমান ছিলেন অন্যতম স্পিরিট। সব কাজে তিনি আমাদের উৎসাহ যোগাতেন। খুলনা আইনজীবী সমিতি গঠনের পেছনেও তার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। তিনি ছিলেন স্ফুলিঙ্গ।’
নজিবুর রহমানকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করে ব্যারিস্টার আমীর আরও বলেন, ‘নজিবুর যখন মিছিলে স্লোগান দিতেন, তখন তিনি তার সবটুকু শ্বাস-প্রশ্বাস দিয়ে স্লোগান দিতেন। মিছিলে সেই স্লোগান দিতে গিয়েই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তাই আমাদের আইনজীবী সমিতি যেন তার পরিবারের সহযোগিতায় কাজ করতে পারে, সেদিকে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। পাশাপাশি আমরা তার বিদেহী আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।’
সংগঠনের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল নূর দুলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন— সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাডভোকেট ড. বশির আহমেদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, আইনজীবী ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী, আবু সাঈদ সাগর, পি সি গুহ, কে এম সাইফুদ্দিন, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী ওয়ালী উদ্দিন ফয়সল এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাড শরিফুজ্জামান সংগ্রাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা-১০ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের পক্ষে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে আইনজীবীরা রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি মিছিল বের করেন। ওই মিছিলের সামনে অবস্থান করছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান নজিব (৫৯)। হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নজিবুর রহমান ১৯৫৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন।