সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে মানববন্ধন করেছেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির নিজ কক্ষের সামনে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) ‘বিএনপি প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ ব্যানারে গণতন্ত্র ও খালেদা জিয়ার মুক্তি আইনজীবী আন্দোলন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।
পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে শতাধিক আইনজীবী অংশ নিয়ে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানান। মানববন্ধন শেষে তারা সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনে বিক্ষোভ করেন।
মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশনের) সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন নিয়ে জাতি লজ্জিত। এতো লজ্জিত যে এমন নির্বাচন তারা শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর ইতিহাসে কখনও দেখেনি। রাতের অন্ধকারে প্রশাসনের লোকেরা নিজেরাই সমস্ত ভোটের বাক্স নিয়ে গেল এবং ব্যালট পেপার নিয়ে গেলে, ভোট হয়ে গেল। এটাকে ভোট বলা যায় না। আমরা মনে করি এই ভোটে বিএনপি বা বিরোধী দল পরাজয় বরণ করেনি। এতে করে আওয়ামী লীগ হেরেছে এবং দেশের সংবিধান হেরেছে।
জয়নুল আবেদীন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কী অপরাধ করেছেন? আপনারা জানেন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় এক বছর কারাবন্দি রয়েছেন। সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী। তিনি এই দেশের মাটি ও মানুষের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন। এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করেছেন। আজকে তাকে যেন তেন কারণে গ্রেফতার করে রেখেছেন। সমস্ত আদালতগুলোতে আপনারা প্রভাব বিস্তার করে খালেদা জিয়াকে জেল খানায় রেখেছেন। এই অবস্থা আমরা অনুরোধ করছি, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার আদেশ দিন এবং এদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন। দেশে মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তি চায়। এই নৈরাজ্যের নির্বাচন ডাকাতির নির্বাচন একমাত্র প্রতিহত করতে পারেন বেগম খালেদা জিয়া। আমরা অনুরোধ করব অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, দেশকে বাঁচান, জাতিকে বাঁচান, গণতন্ত্রকে বাঁচান।
সংগঠনের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের মহাসচিব অ্যাডভোকেট এ বি এম রফিকুল হক তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট মাওলানা আবদুর রকিব, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান খান, অ্যাডভোকেট মতিলাল ব্যাপারী, অ্যাডভোকেট ড. আরিফা জেসমিন নাহিন, অ্যাডভোকেট নাছিরউদ্দিন খান সম্রাট, অ্যাডভোকেট কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট শফিউর রহমান শফি, অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন মণ্ডল, অ্যাডভোকেট একেএম মুক্তার হোসেন, অ্যাডভোকেট পিকে রায় সরকার, অ্যাডভোকেট আনজুমান আরা বেগম মুন্নী, অ্যাডভোকেট সাইদ রহমান বক্তিয়ার, অ্যাডভোকেট সালাউদ্দিন শিকদার, অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম মুকুল, অ্যাডভোকেট কহিনুর বেগম পাপড়ি, অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেন, অ্যাডভোকেট ফরাদ উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার, অ্যাডভোকেট মাজেদুল ইসলাম পাটোয়ারী প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আইয়ুব আলী আশ্রফী।