গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত মালুম সিটিসহ ২৪টি হাউজিং কোম্পানির অবৈধ দখলদারিত্ব এবং মাটি ভরাট কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে আগামী দুই মাসের মধ্যে গাজীপুরের ডিসি ও এসপি এবং কালীগঞ্জের ইউএনও ও ওসিকে আদেশ বাস্তবায়ন করতে এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ-সংক্রান্ত এক সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (২৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নী জেনারেল পূরবী সাহা।
২৪টি হাউজিং কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পূর্বাচল ল্যান্ডস লিমিটেড, এজি প্রপার্টিজ লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড, বিশ্বাস বিল্ডার্স লিমিটেড, নীলাচল হাউজিং লিমিটেড, বাগান বিলাস, রূপায়ন ল্যান্ডস লিমিটেড, আদর্শ আইডিয়াল লিমিটেড, তেপান্তর হাউজিং, মেট্রোপলিটন ক্রিশ্চিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং, মঞ্জিল হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, শিকদার রয়েল সিটি, কপোতাক্ষ গ্রিন সিটি, ডিভাইন হোল্ডিং লিমিটেড, শতাব্দী হাউজিং, স্বর্ণছায়া রিয়েল এস্টেট, ভিশন ২১ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড, ওশান হ্যাভেন লিমিটেড, এসএফএল চন্দ্রিমা লিমিটেড, গ্রাম্প ইন্টারন্যাশলাল, নর্থ-সাউথ হাউজিং এবং ফেয়ার ডিল শিপিং লিমিটেড।
গত বছরের ১২ নভেম্বর এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও গাজীপুরের কালীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ১৬টি হাউজিং কোম্পানি কর্তৃক জলাশয় ও নিচু জমি ভরাটের ওপর স্থিতাবস্থা দেন হাইকোর্ট। আদালত আদেশের পাশাপাশি রুলও জারি করেন।
ওই রিটের ধারাবাহিকতায় গত বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে একটি সম্পূরক আবেদন করেন রিটকারীপক্ষ। এই আবেদনের শুনানি নিয়ে আদালত আজ নতুন করে ২৪ কোম্পানির বিষয়ে আদেশ দিলেন।
হাইকোর্টের স্থিতাবতা জারি হওয়া আগের ১৬টি কোম্পানি হলো- পূর্বাচল সিটি, সিটি ক্লাউড, কানাডা সিটি, জমিদার সিটি, ড্রিমল্যান্ড, হোমল্যান্ড পূর্বাচল সিটি, হোমটাউন পূর্বাচল সিটি, প্রিটি রিয়েল এস্টেট, মাসকট গ্রিন সিটি, পুষ্পিতা এমপিয়ার হাউজিং, নন্দন সিটি, বেস্টওয়ে সিটি, মালুম সিটি, মেরিন সিটি ও সোপান সিটি।