অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক-২০১৯ বলছে, আগের বছরের তুলনায় আইনের শাসন পরিস্থিতির সকল শাখায় উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। মার্কিন অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেরিটেজ ফাউন্ডেশন প্রকাশিত সূচকটির আইনের শাসন অংশের তিনটি শাখা— সম্পত্তির অধিকার, বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতা ও সরকারের সংহতিতে গত বছরের তুলনায় স্কোর বেড়েছে বাংলাদেশের।
সূচকের আইনের শাসন অংশে বলা হয়, সম্পত্তির অধিকার শাখায় বাংলাদেশের স্কোর ৩৬.১, বিচার ব্যবস্থার কার্যকারিতায় ৩৪.৫ এবং সরকারের সংহতিতে ২৪.৪।
অর্থনৈতিক স্বাধীনতা সূচক-২০১৮ এ আইনের শাসনের উপরোক্ত তিনটি শাখায় বাংলাদেশের প্রাপ্ত স্কোর ছিলো যথাক্রমে ৩২.৪, ৩২.৬ ও ২১.২।
উপরোক্ত তিনটি ছাড়াও শ্রমিকে স্বাধীনতা, আর্থিক স্বাধীনতা, সরকারি ব্যয় ও বাণিজ্যের স্বাধীনতা অংশে উন্নতির ওপর ভর করে তালিকায় ১২১ তম অবস্থানে উঠেছে এসেছে বাংলাদেশ। আগের বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১২৮তম। সূচকে বাংলাদেশের প্রাপ্ত মোট স্কোর ৫৫.৬।
প্রতিবেদনের বাংলাদেশ অংশে বলা হয়, সার্বিকভাবে বাংলাদেশের স্কোর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গড় স্কোরের চেয়ে কম। আরও বলা হয়, ‘মূলত বেসরকারি খাতে ব্যয় বৃদ্ধির ওপর ভর করে দুই দশক ধরে বাংলাদেশের জিডিপি ৬ শতাংশের বেশি হারে বাড়ছে। কিন্তু নাজুক অবকাঠামো, লাগামহীন দুর্নীতি ও ধীরগতির অর্থনৈতিক সংস্কারের কারণে ভূগতে হচ্ছে দেশটিকে।’
দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। ভারতের অবস্থান ১২৯তম, এর দুইধাপ নিচে ১৩১তম অবস্থান আছে পাকিস্তান। এ ছাড়া নেপাল ১৩৬ তম ও শ্রীলঙ্কার ১১৫তম। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।