শিল্প কারখানায় ব্যবহার্য বিশেষ করে টেক্সটাইল কারখানায় যে রঙ ব্যবহার করা হয় সেই রঙ ব্যবহার করা হচ্ছে চিকেন ফ্রাই তৈরিতে। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির ফুডকোর্টে বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে খাবারে বিষাক্ত রঙ মেশানোর ঘটনা ধরা পড়েছে।
এখানেই শেষ নয়, অভিজাত খাদ্য বিপণি হিসেবে পরিচিত এই রেস্টুরেন্টগুলো যেভাবে অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করছে তাতে চোখ কপালে ওঠার মতো অবস্থা হতে পারে যে কারও। রেস্টুরেন্টগুলতে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার বিক্রি ও তেলাপোকার রাজত্ব খুঁজে পেয়েছেন ভ্রমমাণ আদালত।
গত সোমবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত র্যাব-২, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন ও বিএসটিআই এর সহযোগিতায় র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারওয়ার আলম গণমাধ্যমকে বলেন, বসুন্ধরা শপিং মলের ফুডকোর্টে অভিযানে প্রধানত তিন ধরনের অনিয়ম পেয়েছেন তারা। কাপড়ে দেওয়া রঙ খাবারে মেশানো হচ্ছিল। সেই সঙ্গে মেয়াদোত্তীর্ণ উপকরণ ব্যবহার করে খাবার তৈরি ও রান্নাঘরের পরিবেশ ছিল অপরিচ্ছন্ন। প্রায় সব দোকানেই দেখা গেছে হাজার হাজার তেলাপোকা।
তিনি জানান, মিডনাইট সান রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করে দেখা গেল, গতকাল যেসব পাউরুটি সরবরাহ করা হয়েছে তার মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্যবহার করা হচ্ছে কাপড়ের রঙ। দুই সপ্তাহ আগে মেয়াদোত্তীর্ণ পাউরুটিতে ভরা ছত্রাক। এই প্রতিষ্ঠানটিকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেন আদালত।
প্রায় একই ধরনের অনিয়মের কারণে ঢাকাইয়া রেস্টুরেন্ট, মোঘল দরবার, ইন্ডিয়ান হট মাসালা, ইন্ডিয়ান দরবার, এলএফসি স্পাইসি, ডোসা কিংকে তিন লাখ করে জরিমানা; টাংগি এন্ড টামি রেস্টুরেন্টকে দুই লাখ জরিমানা এবং ইন্ডিয়ান হান্ডি, কাবানা সি ফুড, কোরিয়ান ক্লোজি, বিএফসি, দিল্লি দরবারকে এক লাখ করে টাকা জরিমানা করা হয়। এই ১৪টি দোকানকে মোট ৩১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এর মধ্যে মিড নাইট সান, ঢাকাইয়া, ইন্ডিয়ান হট মাসালা, এলএফসি স্পাইসি ডোসা, কড়াই গোশত রেস্টুরেন্টকে এক মাস বন্ধ রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই পাঁচটি রেস্টুরেন্টে খাবারে শিল্প কারখানার রঙ ব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছেন আদালত।
তবে বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টের মান সন্তোষজনক পাওয়ায় তাদের ধন্যবাদ প্রদান করা হয়।