সাংবাদিকদেরকে সমাজের বংশীবাদক বা ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ বলে উল্লেখ করে হাইকোর্ট বলেছেন, সংবাদপত্র সমাজের নানা অনিয়মের তথ্য তুলে না ধরলে আমরা সে সব অনিয়ম সম্পর্কে জানতেই পারতাম না। এজন্য সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানাই।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জানুয়ারি) তুরাগ নদীরক্ষা সংক্রান্ত রিটের রায় ঘোষণার একপর্যায়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের কাছ থেকে আরো (ইফেকটিভ) কার্যকর সাংবাদিকতা প্রত্যাশা করে আদালত বলেন, ‘তবে এটাও বলতে হয় যে, আমাদের দেশে এখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা নেই বললেই চলে।’
তুরাগ নদীরক্ষা সংক্রান্ত রিটের এ রায় ঘোষণার জন্য আবার আগামী রোববার দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে বুধবার হাইকোর্টের একই বেঞ্চ তুরাগ নদীকে ‘লিগ্যাল পারসন’ বলে ঘোষণা করেন, যা দেশের সব নদ-নদীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
উচ্চ আদালতের এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে দেশের নদ-নদীর কিছু আইনি অধিকার স্বীকৃত হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে করা এক রিটে তুরাগ নদীর অবৈধ দখলদারদের নাম ও স্থাপনার তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিল বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিটি।
ওই তদন্ত কমিটির দেয়া তালিকায় আসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা পরে এ মামলায় পক্ষভুক্ত হন। উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট বুধবার রায় ঘোষণা শুরু করেন। আজও এ মামলার আংশিক রায় ঘোষণা করে রায়ের বাকি অংশ ঘোষণা করার জন্য আগামী রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত।