মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর সাতানব্বইতম জন্মবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার। ১৯২১ সালের ৩১ জানুয়ারি টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার নাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
আবু সাঈদ চৌধুরী ছিলেন প্রখ্যাত রাজনীতিক তদানীন্তন প্রাদেশিক পরিষদের স্পীকার মরহুম আবদুল হামিদ চৌধুরীর একমাত্র সন্তান। লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে তিনি আইন ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬১ সালের ৭ জুলাই তাকে অতিরিক্ত বিচারপতি পদে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং দুই বছর পরে ঢাকা হাইকোর্টে স্থায়ী নিয়োগ পান।
১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৭১-এর ১৫ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’ছাত্রকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী হত্যা করার প্রতিবাদে উপাচার্যের পদে ইস্তফা দেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মুজিবনগরে গঠিন অস্থায়ী বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ দূত হিসেবে তিনি লন্ডন যান এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে সচেষ্ট ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীনতার পর আবু সাঈদ চৌধুরী বাংলাদেশে ফিরে আসেন ও ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৭৩ সালের ১০ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হন। একই বছর পদত্যাগ করেন।
১৯৮৫ সালে তিনি সর্বসম্মতিক্রমে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। চল্লিশের দশকে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী কলকাতায় নিখিল বাংলা মুসলিম ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে হলওয়েল মনুমেন্টবিরোধী আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৮৭ সালের ২ আগস্ট লন্ডনে হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।