জাহালম

নিরপরাধ জাহালমের কারাভোগের ঘটনায় দুদকের তদন্ত কমিটি

বিনা অপরাধে জাহালমের তিন বছর কারাভোগের ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

আজ সোমবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ কথা জানান।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, জাহালমের ঘটনায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের যদি কোনো গাফিলতি থেকে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা জজ পদমর্যাদার দুদকের একজন পরিচালককে প্রধান করে কমিটি করা হয়েছে।

গতকাল রোববার রাত একটার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে মুক্তি পান জাহালম। সোনালী ব্যাংকের অর্থ জালিয়াতির ২৬টি মামলা থেকে জাহালমকে এক দিনের মধ্যেই অব্যাহতি দিয়ে গতকাল সকালে মুক্তির নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। মূল আসামি আবু সালেকের বদলে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়।

রাতে মুক্তি পাওয়ার পর বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকের জাহালম বলেন, ‘আমাকে বিনা বিচারে আটকে রেখেছে। আমি দুদকের বিচার চাই। ক্ষতিপূরণ চাই।’ যাদের জন্য বিনা বিচারে জেলে আটকে ছিলেন, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান তিনি।

গত ২৮ জানুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আনা হলে হাইকোর্ট জাহালমের আটকাদেশ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে জাহালমের গ্রেপ্তারের ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী দুদক কর্মকর্তা, স্বরাষ্ট্রসচিবের প্রতিনিধি ও আইনসচিবের প্রতিনিধিকে ৩ ফেব্রুয়ারি (গতকাল) সকাল ১০টায় আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় গতকাল দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি হিসেবে দুদকের মহাপরিচালক (তদন্ত) মোস্তাফিজুর রহমান, মামলার বাদী আবদুল্লাহ আল জাহিদ, স্বরাষ্ট্রসচিবের (সুরক্ষা) প্রতিনিধি যুগ্ম সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন ও আইনসচিবের প্রতিনিধি সৈয়দ মুশফিকুল ইসলাম আদালতে হাজির হন।