বনানীর এফ আর টাওয়ার নির্মাণের জন্য ১৯৯৬ সালে প্ল্যান পাশ হয়েছিল। কিন্ত ২০০৫ সালে এসে ভবন মালিক কপি দাখিল করে রাজউককে জানায় যে, ভবনটি ২৩ তলা হয়েছে। তাই আগুন লেগে এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনা কোনো দুর্ঘটনা নয়, এটি হত্যাকাণ্ড বলে মন্তব্য করেছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বনানীর পুড়ে যাওয়া ভবন পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এই ঘটনায় মন্ত্রণালয় থেকে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিট গঠন করা হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে তারা সল্প সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিবে। রাজউকের পক্ষ থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তথ্য পেয়েছি এই ভবনটি ১৮ তলা নির্মাণের জন্য প্ল্যান পাশ হয় ১৯৯৬ সালে। কিন্ত ২০০৫ সালে এসে একটা কপি দাখিল কর হয় যে, ভবনটি ২৩ তলা হয়েছে। সেটাকে সন্দেহ হবার কারণে তদন্ত করা হয়। সেই তদন্তে দেখা যায় যে, কপি তারা দাখিল করেছেন সে সম্পর্কে রাজউকের রেজিস্টারে কোনো তথ্য নেই। কাজেই পরে তারা যে নকশা দাখিল করেছে সেটা সঠিক নয়, মূল অনুমোদিত নকশার ব্যত্যয় ঘটিয়ে তারা এই ভবন নির্মাণ করেছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সেই সময় রাজউকের যে চেয়ারম্যান ছিলেন ও কর্মকর্তা ছিলেন আমরা তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এই নকশা অনুমোদনের সময় কোনো ব্যত্যয় ঘটেছে কি না ও মূল নকশা ছাড়া এটা তৈরি হয়েছে কি না। হয়ে থাকলে এর সাথে কারা কারা জড়িত সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিব। যারা এই ঘটনায় জড়িত সেই নরপিশাচদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত করবো প্রকাশ্যে। এটা আমার মতে দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। কঠিন ব্যবস্থা নিব। ঢাকার অন্যান্য ভবনগুলোর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
যারা ভবনের সাথে জড়িত তাদের লাইসেন্স বাতিল, ফৌজদারি মামলা করা হবে এবং প্রয়োজনে এই ইমারত ভেঙে ফেলা হবে বলেও জানান তিনি।