যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত (পরে রাষ্ট্রপতির মার্জনাপ্রাপ্ত) গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমলকে নেত্রকোণার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) পদ থেকে অপসারণে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে বিমলের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে আজ সোমবার (৬ মে) রায় দেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ।
আদালতে বিমলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল, এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ও আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন।
পরে মোহাম্মদ হোসেন বলেন, হাইকোর্টের রায় ছিলো- তাকে পিপির পদ থেকে অপসারণ করতে হবে। এছাড়া ওই রায় পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে বার কাউন্সিলের দেওয়া আইনজীবী সনদ বাতিল করতে হবে। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান। সোমবার তার লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। অর্থাৎ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রইলো।
আইনজীবীরা মোহাম্মদ হোসেন আরও জানান, শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই নেত্রকোণা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়। ১৯৯৩ সালের ১৭ জুন হাইকোর্টও বিচারকি আদালতের রায় বহাল রাখেন। এর মধ্যে রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান বিমল। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট বিমল আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিলে তালিকাভুক্ত হন।
২০০৯ সালের ২ এপ্রিল তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পিপি পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন মো. মোশারফ হেসেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন। পরে ওই বছরের ১২ ডিসেম্বর রুল যথাযথ ঘোষণা করে রায় দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।