দেশের সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ঝুঁকি বা ত্রুটিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে জরিপ চালাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।
স্থানীয় সরকার সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে (বাস্তবায়ন ও ভবন ব্যবস্থাপনা) নির্দেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। চিহ্নিত ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ব্যবহারে নেওয়া জরুরি পদক্ষেপ জানিয়েও প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পরবর্তী আদেশের জন্য আগামী ২১ আগস্ট পরবর্তী দিন রাখা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।
দেশের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ স্কুল প্রাঙ্গণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান আইনজীবী হুমায়ন কবির। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ও মাদ্রাসা ভবন নিয়ে গণমাধ্যমে সম্প্রতি আসা প্রতিবেদন যুক্ত করে রিটটি করা হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ ওই নির্দেশ দিয়েছেন।
রুলে দেশের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য নিরাপদ স্কুল প্রাঙ্গণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার ঝুঁকি বা ত্রুটিপূর্ণ ভবন চিহ্নিত করতে ভবন জরিপ চালাতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষাসচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গেল মাসের শুরুর দিকে বরগুনার তালতলীর ছোটবগী ইউনিয়নের পি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের ছাদের পলেস্তারা খসে এক শিক্ষার্থী নিহত ও কয়েকজন আহত হয়। এ ঘটনা তুলে ধরে ভবন জরিপের নির্দেশনা চেয়ে আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ ও মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে ৭ এপ্রিল রিটটি করা হয়, যার ওপর শুনানি শেষে আজ আদেশ দেওয়া হয়।