স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের খবরে মাগুরায় কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করেছেন সাবিকুন্নাহার রূপা (৩২) নামে এক নারী আইনজীবী। সোমবার (৬ মে) মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অ্যাডভোকেট রূপা গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার নবীর হোসেন মোল্যার মেয়ে। তিনি মাগুরা বারে অ্যাডভোকেট শাখারুল ইসলাম শাকিলের জুনিয়র হিসেবে আইন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন।
রূপার ভাই বাবু মোল্যা জানান, মাগুরা শহরের পারনান্দুয়ালি গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী তমাল মাহমুদের সঙ্গে ১২ বছর আগে বিয়ে হয় রূপার। কিন্তু সম্প্রতি তমাল গোপনে বাড়ির এক গৃহ পরিচারিকাকে বিয়ে করেছেন বলে খবর পায় তাদের পরিবার। এ খবরের সত্যতা জেনে সোমবার ভোরে বাড়ির সবাই যখন ঘুমিয়ে এমন সময় রুপা কীটনাশক পান করে।
ঘটনার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত রুপাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১টার দিকে রূপার মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর পর রূপার লাশ ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে গোপালগঞ্জে তার বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। লাশের সঙ্গে তার স্বামী তমাল মাহমুদও সেখানে গেছেন বলে জানা গেছে।
মাগুরা সদর থানার ওসি সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
তবে এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রুপার স্বামী তমালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন রুপার ভাই বাবু মোল্যা।
মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সাজিদুর রহমান বলেন, সাবিকুন্নাহার রূপা দুই বছর আগে মাগুরা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তার মৃত্যুতে আদালত অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রূপার বিনা অনুমতিতে দ্বিতীয় বিয়ে ও আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য স্বামী তমাল মাহমুদের শাস্তি দাবি করেন তিনি।