আদালতে অভিযোগের পর রাজধানীতে ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি পরীক্ষার পর ৫৯টি এলাকার পানিই অনিরাপদ ও ময়লাযুক্ত বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আদালতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আদালতে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান স্বাক্ষরিত এক প্রতিবেদনে এ প্রমাণ পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, ওয়াসার ১০টি জোনের পানি পরীক্ষার পর ৫৯টি এলাকার পানিই অনিরাপদ বলে প্রমাণিত হয়েছে।
এর মধ্যে ১ নম্বর জোনে রয়েছে, যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকগর, মান্ডা, ধুলাইপার ও মাতুয়াইল।
২ নম্বর জোন : বাঘলপুর, লালবাগ, বকসি বাজার ও শহীদনগর।
৩ নম্বর জোন: জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভুতের গলি ও মোহাম্মদপুর।
৪ নম্বর জোন : শেওরাপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুর।
৫ নম্বর জোন : মহাখালী ও তেজগাঁও।
৬ নম্বর জোন : সিদ্ধেশ্বরী শাহজাহানপুর, খিলগাঁও, মগবাজার, নয়াতোলা, রামপুরা, মালিবাগ ও পরিবাগ।
৭ নম্বর জোন : কদমতলী, ধনিয়া, শ্যামপুর, রসুলবাগ মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনির আখড়া, কোনাপাড়া ও মুসলিম নগর
৮ নম্বর জোন : বাড্ডা, আফতাব নগর, বসুন্ধরা ও ভাটারা।
৯ নম্বর জোন : উত্তরা, খিলক্ষেত, ফায়েদাবাদ, মোল্লার টেক ও রানা গোলা।
১০ নম্বর জোন : কাফরুল, কাজীপাড়া, মিরপুর, কচুক্ষেত ও পল্লবী।
এ সময় আদালত মন্তব্য করেছেন, ওয়াসার দায়িত্ব বাড়ি পর্যন্ত নিরাপদ পানি পৌঁছে দেয়া। এছাড়া পানি পরীক্ষার মত জানতে ঢাবি বায়োলজি বিভাগের চেয়ারম্যানকে ২১ মে হাজির হতে বলেছেন আদালত।
এছাড়া বুধবার (১৫ মে) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাজধানীর ওয়াসার পানির ১০৬৫টি নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা দরকার।
উল্লেখ্য, এর আগে গত সোমবার শুনানিতে আদালতের নির্দেশের পরও ঢাকা ওয়াসার কোন কোন এলাকার পানি সবচেয়ে বেশি অনিরাপদ তা পরীক্ষা করে প্রতিবেদন না দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষায় যে অর্থ খরচ হবে, তা নির্ধারণ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে বুধবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।