পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত বোর্ডের প্রণীত রেজ্যুলেশনের ৮১ নম্বর প্রবিধান অনুযায়ী, উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ না রাখার বিধানটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে খাতা পুনর্মূল্যায়নের প্রয়োজনীয় বিধান কেন প্রণয়ন করা হবে না, রুলে তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
শিক্ষা ও আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ মোট ২১ জনকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ বি এম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বোর্ডের আইন অনুযায়ী খাতা পুনর্মূল্যায়নের কোনও সুযোগ নেই। যা করা যায় তা হলো পুনঃনিরীক্ষা। এর ফলে খাতার নম্বরের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ থাকলেও খাতার মূল্যায়ন করার সুযোগ নেই। তাই সেই সুযোগ চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়।’
প্রসঙ্গত, এর আগে এসএসসি ও এইচএসসিসহ সমমানের বোর্ড পরীক্ষায় উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়নের সুযোগ চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়। গত ১৪ মে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজী ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা এ রিট দায়ের করেন।