পায়ের উপর ভর করে দাঁড়াতে পারেন না ৮২ বছরের বৃদ্ধ আবদুল আজিজ খাঁ। দুই হাতে ভর করে চলাচল করেন তিনি। আজীবন ভরণ পোষণের শর্তে নিজের শেষ সম্বল টুকু দলিল করে দেন মেয়ে আসমা খাতুনকে। শর্ত ভেঙ্গে বৃদ্ধ বাবাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন মেয়ে আসমা। বিভিন্ন স্থান ঘুরে প্রতিবন্ধী আজিজ খাঁর এখন ঠাঁই হয়েছে ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনালে। ভিক্ষা করে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি। শেষ বয়সে ফিরে পেতে চান আশ্রয়স্থল।
আবদুল আজিজ খাঁ বলেন, ত্রিশ শতাংশ জমি দিয়েছি খাওয়া ও ভরণপোষণের জন্য।
একজন এলাকাবাসী জানান, প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এর একটা সুষ্ঠু বিচার হোক। যাতে তিনি নিজের বাড়িতে থাকতে পারেন।
মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট শিপ্রা গোস্বামী বলেন, এটি’র সুষ্ঠু সমাধান হবে এবং দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। যাতে অন্য সন্তানরা তার বাবা-মায়ের সাথে এই ধরনের আচরণ করতে না পারে।
তবে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেয়ে আসমা খাতুন। অভাবী সংসারে অনেক কষ্টে টেনেটুনে চলছে তাদের জীবন।
মেয়ে আসমা খাতুন বলেন, ভরনপোষনের কথা ছিল না। আমার স্বামী কামলা খেটে যা আয় করেন, তা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। আর যতটুকু আমরা পারি ততটুকু আমরা দেখবো।
ঘটনা তদন্তে সদরপুর উপজেলার দশহাজার গ্রামে যান ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূরবী গোলদার। তিনি বলেন, আজিজ খাঁ-কে আমরা নিয়ে আসবো এবং তার সাথে আমরা কথা বলবো। যদি উনি (আজিজ খাঁ) থাকতে চান সেক্ষেত্রে ওনার সন্তানদের আমরা বাধ্য করবো। যাতে তাকে এইভাবে ভিক্ষা না করতে হয় এবং অমানবিক জীবন যাপন করতে না হয়।
[youtube https://www.youtube.com/watch?v=gankLPucdaM]
পাঁচ সন্তানের জনক আবদুল আজিজ খাঁর জমি বঞ্চিত ২ ছেলে থাকেন অন্য এলাকায়। তিন মেয়ের মধ্যে আসমা খাতুন মেঝ। অন্য ২ মেয়ে থাকেন শ্বশুর বাড়িতে। সূত্র : সময়টিভি