অ্যাডভোকেট আবিদা সুলতানা হত্যাকাণ্ডে খুনিদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যরা। এ সময় অপরাধীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি লড়াই করবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
আজ সোমবার (২৭ মে) দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আদালত বর্জন, আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও রাজপথে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা।
মৌলভীবাজার জেলা বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এস এম আজাদুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট রমাকান্ত দাশ গুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট শান্তিপদ ঘোষ, রাধাপদ দেব সজল, ডাডলী প্রেন্ট্রেস, তপন পাল তপু, অ্যাডভোকেট আলতাফুর রহমান সুমন প্রমুখ।
হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান বক্তারা। এ সময় অপরাধীদের পক্ষে কোনো আইনজীবী আইনি সহায়তা না দেবেন না বলেও ঘোষণা দেন তারা।
প্রসঙ্গত, নিহত আবিদা সুলতানা বড়লেখার কাঁঠালতলী ইউনিয়নের দক্ষিণ কাঁঠালতলী গ্রামের মৃত হাজি আব্দুল কাইয়ুমের মেয়ে। তিনি মৌলভীবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য। রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ কাঁঠালতলী এলাকায় নিজ বাড়িতে হত্যা করা হয় তাকে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, তিন বোনের মধ্যে আবিদা সবার বড়। তিনি স্বামীর সঙ্গে মৌলভীবাজার শহরে থাকতেন। পরিবারে সবার সঙ্গে ইফতার করবেন বলে রোববার (২৬ মে) বিকেলে মৌলভীবাজার থেকে বাড়িতে ইফতারি নিয়ে আসেন আবিদা। রাত ১০টার দিকে ভাড়াটিয়ার বাসায় গেলে তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। একপর্যায়ে সেখানেই আবিদাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরপরই হত্যায় জড়িত ইমাম তানভীর আলম পালিয়ে যান। রাতেই তানভীরের মা ও তার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মাথায়, গলার বাম পাশে ও থুঁতনিতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ও মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
নিহতের পরিবার আরো জানায়, আবিদার সঙ্গে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তির জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ বিষয়টি সামনে রেখেও তদন্ত করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : নারী আইনজীবী হত্যা : ভাড়াটিয়া তানভীর আলম আটক