নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় জড়িতদের বিচার শিগগিরই শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এছাড়া চার্জশিট দাখিলের পর তার গাঢাকা দেওয়া সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা।
আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) খালেদা জিয়ার নাইকো দুর্নীতিসহ অন্য মামলার শুনানির জন্য কেরানীগঞ্জ কারাগারের ভেতরে আদালত স্থাপনের প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে শুনানির পর ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (প্রত্যাহার) মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিলের পর তার গাঢাকা দেয়ার বিষয়টি কীভাবে দেখছেন এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘অবশ্যই আমি চাই এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আমি কেন? দেশের সবাই এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। সরকার দোষীদের শাস্তি নিশ্চিতে কাজ করছে। আশা করি শিগগিরই আসামিদের বিচারও শুরু হবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত জাহান রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যান। সে সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের ওপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ দৌলার বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে করা মামলা তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নুসরাত।
ওই ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।
পরবর্তীতে সোনাগাজী থানায় অভিযোগ নিয়ে যাওয়া নুসরাতের সঙ্গে ওসি মোয়াজ্জেমের কথোপকথনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। নুসরাতের মৃত্যুর পরদিন ‘নুসরাতের পরিবারকে অসহযোগিতার অভিযোগে’ প্রত্যাহার করা হয় ওসিকে। এরপর পুলিশ সদর দফতরের উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ী চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়।