কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে আজ পর্যন্ত একই মেন্যুতে সকালের নাশতা খাচ্ছিলেন বাংলাদেশের কারাবন্দীরা। অবশেষে ব্রিটিশ আমল থেকে কারাবন্দীদের জন্য বরাদ্দ করা নাশতার সেই মেন্যু পরিবর্তন হলো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এটি পরিবর্তন করা হয়। এখন থেকে বন্দীরা নাশতায় মুখরোচক কিছু খাবার পাবেন।
আজ রোববার (১৬ জুন) সকাল থেকে এই পরিবর্তন কার্যকর হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনুষ্ঠানিকভাবে এর সূচনা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা যায়, এখন থেকে বন্দীরা সপ্তাহে দুই দিন ভুনা খিচুড়ি, চার দিন সবজি-রুটি, বাকী এক দিন হালুয়া-রুটি পাবেন।
কারা সূত্র জানায়, কারাগার প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত সকালের নাশতায় একটি মেন্যু ছিল। মেন্যুটি হলো- একজন কয়েদির জন্য ১৪.৫৮ গ্রাম গুড় এবং ১১৬.৬ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। আর একই পরিমাণ গুড়ের সঙ্গে একজন হাজতি পেতেন ৮৭.৬৮ গ্রাম আটা (সমপরিমাণ রুটি)। ব্রিটিশ আমল থেকে করা এই প্রথা চলে আসছিল এত দিন। আড়াইশ বছর ধরে এভাবেই নাশতা করে আসছিলেন বন্দীরা।
ঢাকার জেল সুপার মাহবুবুল ইসলাম বলেন, নতুন নাশতার খবরে বন্দীরা বেশ খুশি। এছাড়াও দীর্ঘ দিনের মেন্যু পরিবর্তন করে নতুন মেন্যু দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রশংসা জানিয়েছেন বন্দীরা।