আদালত চত্বরে হট্টগোল ও অসদাচরণ করায় দুই আইনজীবীর সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করেছে সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি। সমিতির জরুরি সভা শেষে গত সোমবার (১৭ জুন) মাসুম মিল্লাহ চৌধুরী ও একরামুল হাসান শিরুর সদস্যপদ ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। এই সময়ের মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। উপযুক্ত কারণ দর্শাতে ব্যর্থ হলে দুইজনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের কথা জানিয়েছেন আইনজীবী সমিতির নেতারা।
মাসুম ও শিরু দুইজনই চলতি বছর আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। এদের মধ্য মাসুম বিল্লাহ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আর একরামুল হাসান শিরু সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি।
পেশাগত অসদাচরণের কারণে তাদের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হোসেন আহমদ।
আইনজীবী সমিতি সূত্রে জানা যায়, ওকালতনামা ছাড়াই সোমবার একটি মামলার শুনানিতে বিবাদী পক্ষের হয়ে আদালতে দাঁড়ান মাসুম ও শিরু। বাদীপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে তারা অসদাচরণ করেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সূত্র জানায়, গত ১ এপ্রিল সিলেট সদরের মইয়ারচরে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে মামাতো ভাইদের বিরুদ্ধে নিজের ওপর হামলার অভিযোগ আনেন আইনজীবী বুরহান উদ্দিন। তার ওপর হামলার অভিযোগে চারজনকে অভিযুক্ত করে জালালাবাদ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা দায়েরের পাশপাশি অ্যাডভোকেট বুরহান উদ্দিন সিলেট আইনজীবী সমিতিকে বিষয়টি অবগত করেন।
এই মামলায় সোমবার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন বিবাদীরা। বিবাদীপক্ষে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত হন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম। তার সহযোগিতায় ছিলেন মাসুম বিল্লাহ চৌধুরী ও একরামুল হাসান শিরু।
জামিন শুনানি শেষে আইনজীবী বাদীর বিপক্ষে দাঁড়ানো নিয়ে আদালত চত্বরেই তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীরা। হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন দুইপক্ষ। এ সময় লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ করেন মাসুম ও শিরু।
পরে এনিয়ে আইনজীবী সমিতি জরুরি বৈঠকে বসলে ওকালতনামা ছাড়াই মাসুম ও শিরু আদালতে শুনানিতে অংশ নেয়ার প্রমাণ পায়। এ কারণে তাদের সদস্যপদ সাময়িক স্থগিত করা হয়।