মাদারীপুরের সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের এমএ শেষ বর্ষের ছাত্র অহিদুজ্জামানকে শ্বাসরোধে হত্যার মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ২ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ওপর এক আসামীকে খালাস দেন আদালত।
আজ বুধবার (১৯ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- লেনিন ব্যাপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি, রেজাউল ব্যাপারী ও এমএম ফয়সাল আহমেদ। এছাড়া খালাসপ্রাপ্ত আসামি মহিউদ্দিন দর্জি।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অহিদুজ্জামানের স্ত্রীকে পছন্দ করতেন রেজাউল ব্যাপারী। পছন্দের মানুষকে না পেয়ে অহিদুজ্জামানকে হত্যার পরিকল্পনা করেন রেজাউল।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ রেজাউল তার লোকজন নিয়ে কৌশলে অহিদুজ্জামানকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। এরপর মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নিয়ে ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এ ঘটনায় সিংগাইর থানার এসআই আ. ছালাম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন।
২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মদন মোহন বনিক ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার ৪২ সাক্ষীর মধ্যে ২২ জন বিভিন্ন সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন।
মামলার আসামিদের মধ্যে রেজাউল ও মহিউদ্দিন পলাতক রয়েছে। মামলার বিচারকাজ চলাকালে সেলিম মারা যান। আসামি লেনিন ব্যাপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি ও সেলিম হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।