রাজধানীর দক্ষিণখান এলকায় অভিযান চালিয়ে ৮২ কেজি গাঁজাভর্তি দু’টি প্রাইভেটকারসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত এলাকা থেকে মঙ্গলবার (২৫ জুন) দিনগত রাতে গাঁজা নিয়ে ঢাকায় আসা তিন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন- বাছির মিয়া (৩০), ওলিদ হোসেন (২৮) ও জীবন (১৯)। এ সময় তাদের ব্যবহৃত দু’টি প্রাইভেটকার জব্দসহ তল্লাশি করে ৮২ কেজি গাঁজা, চারটি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লাখ ৩ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১ এর স্কোয়াড কমান্ডার (সিপিসি-১) এএসপি মো. কামরুজ্জামান জানান, এ চক্রটি মাদক পরিবহনে যাত্রীবাহী বাস, মৌসুমী শাক-সবজি বহনকারী ট্রাক, আম, ধান, গম, ভূট্টা বহনের গাড়ি ব্যবহার করলেও বর্তমানে প্রাইভেটকার ব্যবহার করে আসছিলো। মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে দু’টি প্রাইভেটকারে করে মাদকের চালান নিয়ে ঢাকার আসছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে নজরদারি বাড়ানো হয়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১ এর একটি আভিযানিক দল প্রাইভেটকার দু’টির গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকে এবং সর্বশেষ রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকায় গাড়ি দু’টি সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর গাড়ি দু’টি তল্লাশি করে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা সংঘবদ্ধ মাদক চোরাচালানকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য। চক্রের অন্যতম সদস্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গঙ্গানগর এলাকার স্বপন। সে ভারত থেকে গাঁজার চালান নিয়ে আসে। এরপর স্বপনের কাছ থেকে বাছির, ওলিদ ও জীবন প্রাইভেটকারে করে ঢাকায় এনে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে সরবরাহ করতো।
এএসপি কামরুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য পরিবহনে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারগুলো অনেক স্বল্প মূল্যের। মাদক পরিবহনের কাজ অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এবং যেকোনো সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেফতারের সম্ভাবনায় কমদামী এসব গাড়ি ব্যবহার করা হতো।
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান এএসপি কামরুজ্জামান।