মাদক মামলার আসামি হওয়ায় বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির ৫ সদস্যের পেশাগত সনদের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের নামে বরাদ্দ চেম্বারও বাতিল করা হয়েছে।
জেলা আইনজীবী সমিতির তলবি সভায় মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়।
পাঁচ আইনজীবী হলেন, রিয়াজ উদ্দিন মিলন, একেএম সাইদুল হক খান জুয়েল, তানভির আহমেদ, মাছুম খান ও শেখ জিয়াউর রহমান রুমি।
সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ খান বলেন,‘যতদিন পর্যন্ত এ মামলা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি না হবে ততদিন পর্যন্ত তাদের পেশাগত সনদ, আইনজীবী সমিতির সদস্য পদসহ নিজেস্ব চেম্বার বাতিল করা হয়েছে। মামলায় তারা নির্দোষ প্রমাণিত হলে সদস্য পদসহ স্থগিত সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের এসব সুযোগ-সুবিধা স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হবে।
তিনি আরও বলেন,‘গত ১৩ মে জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী মানবেন্দ্র বটব্যাল ও জিপি ইসমাইল হোসেন নেগাবন মন্টুসহ ১৫২ জন আইনজীবী সমিতির কার্যকরী পরিষদের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। আবেদনে মাদক মামলায় জড়িত আইনজীবীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়াসহ সদস্যপদ স্থগিত, চেম্বার বরাদ্দ বাতিল ও সনদের কার্যকারিতা স্থগিত রাখার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া তাদের কোনও আইনি সহায়তা না দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে।’
আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বলেন,‘একই সঙ্গে কেউ ধর্ষণ, অস্ত্র আইন অথবা জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় অভিযুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধেও একই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কার্যকরী পরিষদের কাছে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সমিতির সভাপতি সৈয়দ ওবায়েদ উল্লাহ সাজু তলবি সভা আহ্বান করেন। পরে সবার সম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সমিতির সাবেক সভাপতি ও জিপি ইসমাইল হোসেন নেগাবন মন্টু, সাবেক এমপি তালুকদার মো. ইউনুস, শেখ আব্দুল কাদের, আনিছ উদ্দিন আহমেদ সহিদ, দায়িত্বপ্রাপ্ত পিপি মজিবর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুল হাসান, গোলাম কবির বাদল, মোখলেছুর রহমান বাচ্চু ও ইশতাক আহমেদ রুবেলসহ অন্যরা।