প্রায় ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় বৃদ্ধ রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে চলমান যে মামলাটি হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছেন সেই মামলার কার্যক্রম পরিচালনার দায়ে ঢাকার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারককে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (২৬ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও রিয়াজুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী বুধবার (৩ জুলাই) তাকে হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউরকে (এপিপি) হাজির হতে হবে।
আদালতে রাবেয়া খাতুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আশরাফুল আলম নোবেল।
এর আগে, গত ৩০ এপ্রিল রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট।
‘অশীতিপর রাবেয়া: আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি?’ শিরোনামে গত ২০ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম গত ২৮ এপ্রিল হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এর শুনানি গ্রহণে ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট রাবেয়া খাতুনের বিরুদ্ধে থাকা মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করেন। মামলার নথি তলবের পাশাপাশি নিম্ন আদালতে থাকা মামলাটি কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেওয়া হয়।
এরপর গত ১৫ মে হাইকোর্ট এক আদেশে ২৬ জুন রাবেয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাঁর আইনজীবীকে নির্দেশ দেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ অশীতিপর রাবেয়া আদালতে হাজির হন।
আবেদনকারী আইনজীবী আশরাফুল আলম গণমাধ্যমকে বলেন, ২০০২ সালে করা ওই মামলায় রাবেয়ার বয়স ৬০ বছর বলা হয়। সে অনুসারে তাঁর বয়স হয় ৭৭ বছর। তবে রাবেয়ার ভাষ্য, তাঁর বয়স ১০৪ বছর।
জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮ বছর ধরে আদালতে হাজিরা দেন রাবেয়া। মামলা শেষ হয় না। কবে শেষ হবে তাও জানেন না। রাবেয়া বলেন, ‘পুলিশেরে শরবত, মোরব্বা বানাই খাওয়াইছি। তারপরও মামলায় আমারে আসামি বানাইছে। আমি আর বাঁচতে চাই না, মরতে চাই। অনেক দিন ধরে এই মামলায় হাজিরা দেই। আদালত আমাকে মামলা থেকে খালাসও দেয় না, শাস্তিও দেয় না।’
অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অভিযোগে ২০০২ সালের ২ জুন রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করা হয়।