আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিচার বিভাগের প্রয়োজনে নতুন আইনজীবী নিয়োগ দিতে ডেপুটি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পদত্যাগ করতে বলেছি। তবে এখন পর্যন্ত কারও পদত্যাগপত্র পাইনি।
আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে লিগ্যাল এইডের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, নতুন নিয়োগ হোক আর পুরান যারা আছে তারা থাকুক, কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া নতুন করে দেয়া হবে। ২০১৭ সালের আগে যারা ডেপুটি ও সহকারী আটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘তাদের পদত্যাগের বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছি অ্যাটর্নি জেনারেলকে। তিনি নিশ্চয়ই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পদত্যাগপত্র পাইনি।’
মন্ত্রী বলেন, এখন আবারও তাদের (ডিএজি ও এএজিদের) বলছি, পদত্যাগের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে তাদের সকলের কাছে পৌঁছে যাবে।
ডিআইজি মিজানকে নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিককে তলবের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বিষয়টি অবগত নই। তবে যেটি বলবো, দুদক একটি স্বাধীন সংস্থা। এ বিষয়ে কোনো প্রশ্ন যদি করতে হয় তাহলে দুদককে করাই শ্রেয়।’
খেলাপিদের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, বিচারিক বিষয়ে কখনো কোনো কথা বলি না।’ আপনারা সিম্পলি দেখেন, সরকার আইনসম্মত ও সংবিধানের ভেতরে থেকে বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তেমনি রাষ্ট্রের বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ ও আইন সভা সেই বাস্তবতাকে নিয়ে কাজ করে।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আইন মন্ত্রণালয়েরে মাধ্যমে ডেপুর্টি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়। এখন অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে ডেপুটি ৬৭ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ১০৭ জন।
জানা গেছে, তাদের মধ্যে অনেকেই পদত্যাগপত্র প্রস্তুত রেখেছেন। এখন শুধু সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেয়া বাকি।