ঢাকার একজন সহকারী জজের বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলায় যুক্তি-তকের্র সুযোগ না দিয়ে পেছনের তারিখে রায় প্রচার করার অভিযোগ এনেছেন এক আইনজীবী। গত মঙ্গলবার ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরীর কাছে ঢাকার ষষ্ঠ সহকারী জজ ফারজানা বেগমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন আইনজীবী ওয়াফী খান।
আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গিয়াস উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকার জেলা জজ লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে ওই বিচারককে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
ওয়াফী খান জানান, ডেমরার দনিয়া এলাকার একটি জমির দলিল বাতিলের মামলার বাদী মহিউদ্দিন খান তার মক্বেল। ২/২০১৫ নম্বরের দেওয়ানি মামলাটির বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিল। ঘটনার সময় যুক্তিতর্ক হওয়ার কথা।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, মামলাটিতে যুক্তিতর্ক ও রায় ঘোষণার জন্য ১৯ মে দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় সেদিন হয়নি শুনানি। এজন্য পরে ২১ মে দিন ঠিক করা হলেও আদালতে কার্যতালিকায় লেখা হয়নি। ফলে তিনি জানতে পারেননি। তাছাড়া দেওয়ানি মামলায় একদিন পরেই শুনানির তারিখ রাখার রেওয়াজ নেই।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ২৩ জুনে আদালতে গিয়ে যুক্তিতর্কের শুনানি করতে চাইলে বিচারক বলেন, ‘শুনানি নেব না, রায় হয়ে যাবে।’ সেদিন বিকালেই ২১ মে তারিখ উল্লেখ করে রায় প্রচার করা হয়। বাদীপক্ষকে অন্ধকারে রেখে কজলিস্ট ফাঁকা রেখে ওই বিচারক ‘ব্যাক ডেটে’ বাদীর বিপক্ষে রায় দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আইনজীবী ওয়াফী গণমাধ্যমকে বলেন, “আমি ও আমার কনিষ্ঠ আইনজীবী যুক্ততর্কের শুনানির তারিখ জানতে পারিনি। কেননা মামলার তালিকা খাতার পরবতী তারিখের ঘর ফাঁকা ছিল। বিচারক অজানা কারণে পক্ষপাতিত্ব করেছেন। পেশকারের উদ্দেশ্যও ভালো ছিল না। তাদের কারো আচরণ বিচারসুলভ ছিল না।”
আদালতের পেশকার রাজীব পান্ডে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিষয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি গাজী শাহ আলম গণমাধ্যমকে বলেন , “এরকম কাজের অবশ্যই সুষ্ঠু বিচার ও প্রতিকার হওয়া উচিত।” বিডিনিউজ