উচ্চ আদালতে মামলা নিষ্পত্তির দীর্ঘসূত্রতায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সাবেক এই আইন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষ দ্রুত রায় কার্যকর দেখতে চায়। নিম্ন আদালতে সফলভাবে রায় হচ্ছে, কিন্তু হাইকোর্টে আটকে যাচ্ছে। আপিল বিভাগে গেলে আটকে যাচ্ছে।’
আজ শনিবার (২৯ জুন) সংসদে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কয়েকটি আলোচিত মামলার দ্রুত বিচার হওয়ার উদাহরণ তুলে ধরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বরগুনায় স্ত্রীর সামনে প্রকাশ্যে স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিচারের কথা বলছেন। বিচার করছিও। আমি যখন আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলাম নারায়ণগঞ্জের সাত খুন, সিলেটে পায়ুপথে বাতাস দিতে হত্যা ঘটনার মামলার বিচার করেছি। বিশ্বজিৎ হত্যা মামলার বিচার করেছি। নুসরাত হত্যার বিচার চলছে, সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। আশা করি, দুই-তিন মাসে বিচার হবে, অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হবে।’
আইনমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার করার জন্য আইন সংশোধনের দরকার নেই। মামলা হাইকোর্টে গেলে অ্যাটর্নি জেনারেল পেপার বুক দ্রুত তৈরি করে নিষ্পতির ব্যবস্থা করবেন। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুল দেন। অথচ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তিতে উদ্যোগ নিচ্ছি। এটার জন্য আইন সংশোধনের দরকার নেই। দ্রুত আপিল শেষ করতে উদ্যোগ নেবেন। তাহলে মানুষের চাহিদা পূরণে সক্ষম হবো।
কামরুল ইসলাম বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভালো আছে, কিন্তু সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে। মানুষের মধ্যে পশুপ্রবৃত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দিন আগে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটলো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হচ্ছে। যারা ভাইরাল করছে, কেউই আক্রান্ত ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য এগিয়ে যাচ্ছে না। এ রকম ঘটনা দ্রুততম সময়ে বিচার করা উচিত।