নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় এবার সন্তানকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এক নারীকে (২৫) মারধর ও ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল রোববার সকালে এই নারী নিজেই নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে চরজব্বর থানার পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নারী অভিযোগ করেন, ৯ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। স্বামী পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন। বিয়ের পর থেকে তিনি স্বামীর সঙ্গে চট্টগ্রামের অলংকার এলাকায় থাকতেন। কাজ করতেন পোশাক কারখানায়। গত রমজানের ঈদের ১০ দিন পর স্বামী অসুস্থ হয়ে মারা যান। এরপর তিনি পাঁচ বছর বয়সী একমাত্র সন্তানকে নিয়ে এক মাস আগে সুবর্ণচরের বাবার বাড়িতে ফিরে আসেন।
নারীর অভিযোগ, শনিবার রাতে তাঁর বাবা বাড়িতে ছিলেন না। আর মা গিয়েছিলেন পাশের বাড়িতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর সন্তান জন্মদানে সহায়তা করতে। এই সুযোগে রাত দেড়টার দিকে তিন ব্যক্তি তাঁর ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাঁর সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। এ সময় ছেলে কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে ছুরির ভয় দেখিয়ে দুজনে তাঁকে ধরে রাখেন এবং একজন ধর্ষণ করেন।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ বলেন, গতকাল সকালে ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে এক নারী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে, বাকি পরীক্ষা আজ সোমবার হবে।
সুবর্ণচরের চরজব্বর থানার ওসি মোহাম্মদ সাহেদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় অভিযুক্ত নুরুল হুদা (৫৮), নুর উদ্দিন (৪২) ও মো. দেলোয়ারকে (৪৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে সুবর্ণচরে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে চার সন্তানের মাকে গণধর্ষণের ঘটনার পর ছয় সন্তানের মাকে ধর্ষণসহ এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে সালিসের পর এক নারী আত্মহত্যাও করেন।