বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জাতিগোষ্ঠী রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে ধারণা দিতে লন্ডনের একটি শপিংমলে আলাদা কর্নার বসিয়েছে যুক্তরাজ্যের রেড ক্রস।
গত সোমবার লন্ডনে বাংলাদেশের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির নিয়ে ওই ‘ইন্টারঅ্যাক্টিভ ইনস্টলেশনে’ দেখানো হয়- মিয়ানমার থেকে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা কীভাবে আশ্রয়কেন্দ্রে জীবন-যাপন করছে। খবর ডয়চে ভেলের।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের পর ২০১৭ সালের আগস্ট থেকে পালিয়ে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশে এ জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখের বেশি।
রেড ক্রস জানায়, মানুষ যাতে রোহিঙ্গাদের ভুলে না যায় তা নিশ্চিত করতে হবে। সে জন্যই পূর্ব লন্ডনের ওয়েস্টফিল্ড মলে রোহিঙ্গা কর্নার করা হয়েছে। সেখানে প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার জীবনযাত্রা তুলে ধরা হয়। সেই সঙ্গে প্রচার করা হয় তাদের সাক্ষাৎকারও।
শপিংমলে রোহিঙ্গা কর্নার নিয়ে রেড ক্রসের মুখপাত্র পল আমাদি বলেন, আমরা চাই মানুষ এটা দেখে উদ্বুদ্ধ হোক এবং যেন বুঝতে পারে রোহিঙ্গারা মানবিক সংকটে ও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আমাদি আরও বলেন, তিনি আশা করেন এ ইনস্টলেশনটি ক্রেতাদের বোঝাতে সক্ষম হবে রোহিঙ্গারা সেখানে কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। বিষয়টি অনুধাবন করে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তারা এগিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সহায়তায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সঙ্গে কাজ করছে ব্রিটিশ রেড ক্রস। তারা কয়েক হাজার মানুষকে খাবার পানি, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত বলে জানালেও জাতিসংঘের মতে, সেখানের পরিস্থিতি এখনও রোহিঙ্গাদের ফেরার জন্য অনুকূল নয়। এদিকে রোহিঙ্গাদের দাবি, তারা মিয়ানমারের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি এবং নিরাপত্তার গ্যারান্টি চায়।