রেলওয়ের রাস্তার ব্রিজ ও কালভার্ট মেরামতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েও রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
রুলে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত হবে না এবং রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের রেল লাইন, রেল ব্রিজ ও কালভার্ট অবিলম্বে মেরামত করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত, কিম্যান, ওয়েম্যান, গ্যাংম্যান ও পার্মানেন্ট ওয়ে ইন্সপেক্টরদের এক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
চার সপ্তাহের মধ্যে রেল সচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক, মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব জোন), বিভাগীয় প্রধান (পূর্ব জোন) ও একই জোনের প্রধান প্রকৌশলীকে।
এছাড়া মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে বরছাড়া রেলব্রিজে সিলেট থেকে ঢাকাগামী উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন দুর্ঘটনার পর নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা ২৪ অক্টোবরের মধ্যে জানাতে রেলওয়ের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তাজুল ইসলাম।
শুনানি শেষে আইনজীব মো. তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, গত ২৩ জুন রাত পৌনে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় বড়ছড়া রেলব্রিজে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় হতাহতের বিষয়টি চরমভাবে ব্যথিত করে ওই এলাকার বসিন্দা ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদকে। পরবর্তীতে তিনি রিটটি করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৩ জুন দিনগত রাত পৌনে ১২টার দিকে কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল স্টেশনের পাশে ইসলামাবাদ এলাকায় বরছড়া রেলব্রিজে এ দুর্ঘটনায় চারজন নিহত হন। এ ঘটনার পরে ২৯ জুন একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সেতুর কাছে ছয় মাসে সাতটি দুর্ঘটনা’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদনসহ বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মৌলভীবাজারের বাসিন্দা ব্যারিস্টার ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।