মশা নিধনে কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে সারাবছর কাজ চলে উল্লেখ করে বছরব্যাপী মশা নিধনে সরকারের স্থায়ী পদক্ষেপ বা পরিকল্পনা কী, সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
মশা নিধন সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সেই সঙ্গে মশা নিধনে চলমান অভিযানে কোন ওয়ার্ডে কতজন কর্মী দায়িত্ব পালন করছেন, তারা কখন যাচ্ছেন এবং কী কাজ করছেন তাও জানতে চেয়েছেন আদালত।
এছাড়া হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের পরিসংখ্যান জানাতে রাষ্ট্রপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবীকে বলা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ২৬ আগস্ট দিন ধার্য করেন আদালত।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, মশা নিধনে বিভিন্ন সচেতনামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জনবল নিয়োগে অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। নতুন ওষুধ এনে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী বলেন, গত ১১ আগস্ট থেকে নতুন একটি ওষুধ ছিটানো শুরু হয়েছে। আজ থেকে আরও একটি ওষুধ ম্যালাথিওন ছিটানো শুরু হবে।
এ সময় আদালত বলেন, নতুন ওষুধ দিচ্ছেন তাতে কি মশা মরে, নাকি দৌড়ে অন্য জায়গায় চলে যায়? জনবল কী নিয়োগ হয়েছে?
উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আইনজীবী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে সারাদেশে ৬ শতাংশ ডেঙ্গু রোগী কমেছে।
এ কথার প্রেক্ষিতে আদালত বলেন, সারাদেশে তো ওষুধ দেয়া হচ্ছে না। কমছে সেটা পরিবেশের জন্য। ওষুধে কাজ হচ্ছে কি না সেটা আদালতে খোঁজ নিলেই বলা যাবে। আমরা দেখবো রোগী কমছে কি না।
এ সময় উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, রোগী কমছে। তার মানে ওষুধে কাজ হচ্ছে। আর কর্মীরা কাজে ফাঁকি দিচ্ছে কি না, সেটা তদারকির জন্য তাদেরকে ট্র্যাকিং সিম দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এতো ব্যাপক হারে তো আগে কখনও হয়নি। এবারই হলো। আদালত বলেন, কেন হলো, এটা তদন্ত করা দরকার।
উত্তর সিটির আইনজীবী বলেন, ৪০ হাজার লিটার ওষুধ এসেছে। আরও ৪০ হাজার লিটার আসবে। ৫৪টি ওয়ার্ডকে ৫টি জোনে ভাগ করে মনিটর করা হচ্ছে।
আদালত বলেন, কলকাতাসহ অন্যান্য শহরে সারাবছর কাজ চলে। আপনারা সারাবছরের জন্য কী পরিকল্পনা নিবেন সেটা জানান।