অডিও-ভিডিও রেকর্ডকে সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার জরুরি বলে মনে করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রতিষ্ঠানটি তাই সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করার জন্য ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে।
দুদক সচিব দিলোয়ার বখত স্বাক্ষরিত ওই চিঠি মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর তফসিলভুক্ত অপরাধগুলো তদন্ত করে বিচারের জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনে ইলেকট্রনিক রেকর্ডের সাক্ষ্য মূল্য সম্পর্কে কিছু বলা নেই। তাই প্রায়ই তদন্তকালে জব্দ করা ইলেকট্রনিক রেকর্ডগুলো উপস্থাপন করা হয় না।
একটি মামলার সূত্র উল্লেখ করে চিঠিতে আরও বলা হয়, টেপরেকর্ড, টেলিফোন আলাপ এবং ভিডিও ক্যাসেটে ধারণ করা তথ্য-উপাত্ত বিচারের সময় প্রাসঙ্গিক বলে উচ্চ আদালতের একটি সিদ্ধান্ত রয়েছে। ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য মূল্য দিতে পাশের দেশ ভারতে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনে নতুন বিধানাবলি সংযুক্ত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
সার্বিক বিবেচনায়, ইলেকট্রনিক রেকর্ডকে সাক্ষ্য-প্রমাণ হিসেবে ব্যবহারের জন্য সাক্ষ্য আইনকে যুগোপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠিতে অনুরোধ করা হয়েছে।