বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা এক মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের আদেশ পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদন খারিজ করা হয়েছে।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। ফলে এ মামলায় বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য নেওয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী।
দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ নিজের পক্ষে শুনানি করেন।
পরে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, এ মামলা ঢাকার একটি আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। অনেকগুলো সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণও হয়ে গেছে। এর মধ্যে ৩১ মার্চ ওনার (মওদুদ আহমদ) একটি পিটিশনের অনুলিপি পেয়েছি। যেখানে তিনি বলছেন- হাইকোর্টে তার ট্যাক্স বিষয়ে মামলা রয়েছে। সেগুলো নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম বন্ধ রাখতে।
‘গত ৪ মার্চ বিচারিক আদালত এ আবেদন নাকচ করলে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যেটি ৮ এপ্রিল সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে তিনি আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছিলেন। আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত কোনো স্থগিতাদেশ না দিয়ে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।’
খুরশীদ আলম খান আরও বলেন, ১৪ মে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মওদুদ আহমদের লিভ টু আপিল আবেদন খারিজ করে দেন। এছাড়া ওনার আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে থাকা তার ট্যাক্স বিষয়ক রিট মামলাগুলো নিষ্পত্তি করতে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। ১৪ মে’র ওই আদেশ পুর্নবিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে আবেদন করেন মওদুদ আহমদ। যেটি রোববার খারিজ হয়ে যায়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ২৮৭ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগে মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় মামলা করে দুদক।
এই মামলায় গেল বছরের ২১ জুন মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
দুদকের আইনজীবী জানান, ইতোমধ্যে ৪৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।