সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অতিরিক্ত (অ্যানেক্স) ভবন সম্প্রসারণ করে ১২তলায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বর্তমানে ভবনটি পাঁচতলা বিশিষ্ট। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের বসার সুবিধার্থে ভবনের চারদিকে পিলার বসিয়ে এর সম্প্রসারণ করা হবে।
ভবন সম্প্রসারণের বিষয়ে ইতোমধ্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি পাওয়া গেছে। এখন আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পরই কাজ শুরু করা হবে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সিনিয়র আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভবন সম্প্রসারণে গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নেতাদের আলোচনা হয়েছে। অ্যানেক্স ভবনের চারদিকে পিলার বসিয়ে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। পঞ্চম তলার ওপরে ১২তলা পর্যন্ত বাড়ানো হবে।
আমিন উদ্দিন বলেন, এবার আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ থেকে (সাদা প্যানেল) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। নির্বাচনের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, ভবনটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেব। সেটাই এখন করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক হিসেবে এর আগে দায়িত্ব পালন করা এ আইনজীবী নেতা বলেন, ‘আমি যে দল বা মতাদর্শেই বিশ্বাস করি না কেন সভাপতি হিসেবে আমার প্রধান লক্ষ্য হলো সমিতির আইনজীবীদের কল্যাণে কাজ করা। আইনজীবীদের কল্যাণ কীভাবে হবে সে লক্ষ্যে তারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আমিও কথা দিয়েছিলাম, নির্বাচিত হলে আইনজীবীদের সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে কাজ করব।’
‘আরেকটা লক্ষ্য হলো, এ সমিতিকে কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে দেব না। আমরা আইনজীবী, রাজনীতি করতেই পারি। কিন্তু ব্যক্তিস্বার্থে সমিতিকে কখনই রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। সাধারণ আইনজীবীরাও সেটা পছন্দ করেন না। সভাপতি হিসেবে এ দুটো বিষয়ের মধ্যে সুক্ষ্ম রেখা টানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত যদি সাধারণ আইনজীবীদের বিরুদ্ধে যায় আমরা প্রতিবাদ করব। কোনো ছাড় দেব না।’
আইনজীবীদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণের পাশাপাশি কল্যাণ তহবিল বৃদ্ধি, লাইব্রেরি সমৃদ্ধকরণের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আইনজীবী সমিতির অ্যানেক্স ভবনটি ২০০১ সালে নির্মাণ করা হয়েছিল। তখন আইনজীবী ছিল তিন হাজার। এখন সদস্য নয় হাজার। ফলে কিউবিকাল সমস্যা তো রয়েই গেছে। এ সংকট কাটাতে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করতেই হবে।