গণপিটুনি থেকে ব্যক্তিদের রক্ষার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে ও গণপিটুনির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানাতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার (২৬ আগস্ট) হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) প্রতিবেদন আকারে জানাতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে গণপিটুনিতে নিহত তাসলিমা বেগম রেনুসহ অন্যান্যদের বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান এবং তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল।
এর আগে গত ২০ জুলাই সকালে উত্তর-পূর্ব বাড্ডার বাড্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছেলেধরা সন্দেহে তাসলিমা বেগম রেনুকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রিট আবেদন করেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রিটে গণপিটুনিতে তাসলিমা বেগম রেনুসহ অন্যান্যদেরকে বাঁচাতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না -এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক সচিব, তথ্য সচিব, পুলিশের আইজিপি, ডিএমপি কমিশনার ও বাড্ডা থানার ওসিকে বিবাদী করা হয়।