ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপকহারে ওষুধ ছিটানো ও অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ সময় মশা নির্মূলে প্রয়োজনে উড়োজাহাজ ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর সমন্বয় গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পাশাপাশি এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৬ অক্টোবর দিন নির্ধারণ করেছেন আদালত।
এ বিষয়ে শুনানির এক পর্যায়ে মশা নিধনে মালয়েশিয়ার উদারহণ টেনে আদালত বলেছেন, প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত ১-২ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে সব শ্রেণির মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ ও এডিস মশার আবাসস্থল ধ্বংসে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা যেতে পারে।’
আদালতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার কাজী মাঈনুল হাসান।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে কোনও অবহেলা আছে কিনা, অবহেলা থাকলে সেটা কার দায়, মশা নিয়ন্ত্রণে কার কী দায়িত্ব ছিল, তা তদন্তে কমিটি গঠনের বিষয়ে আপাতত কোনও আদেশ দেননি হাইকোর্ট। তবে আদালত বলেছেন, পরবর্তীতে অবশ্যই তদন্ত কমিটি করা হবে।
এছাড়া এ ব্যাপারে গণমাধ্যমের প্রশংসা করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৪ জুলাই আদালত তার আদেশে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তা জানানোর জন্য ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ সিটির মেয়র, নির্বাহী কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। পরে ওই বিষয়ে দুই সিটির পক্ষ থেকে গত ২২ জুলাই হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদনে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং দুই সিটি করপোরেশনের প্রধান দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করেন। গত ২৫ জুলাই তারা সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে ব্যাখ্যা দেন।