হাইকোর্ট এবং তিতাস

তিতাসের মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

মাদারীপুরের কাঁঠালবাড়ি এক নম্বর ফেরিঘাটে যুগ্ম সচিবের অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি না ছাড়ায় স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যুর ঘটনায় করা তদন্তের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তিতাসের মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত ও কয়েকটি নির্দেশনা চাওয়া রিটের শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (২৮ আগস্ট) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আগামী ২৩ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সচিবকে এ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন।

এর আগে গত ৩১ জুলাই তাতাসের মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। অতিরিক্ত সচিবের নীচে নন এমন কর্মকর্তাদের নিয়ে এমন কর্মকর্তাদের দিয়ে ওই তদন্ত পরিচালনা করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

এছাড়াও তিতাসের মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতেও নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।

প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই রাতে সরকারের এটুআই প্রকল্পের যুগ্ম সচিব আব্দুস সবুর মণ্ডলের গাড়ির অপেক্ষায় প্রায় তিন ঘণ্টা ফেরি বসে থাকায় ঘাটে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সে স্কুলছাত্র তিতাস ঘোষের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার চার দিন পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিতাসের মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচারিত হয়। এসব সংবাদ সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী জহির উদ্দিন লিমন।

রিটে অভিযোগ ওঠা যুগ্ন সচিব ও ফেরীর ম্যানেজারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে তিতাসের মৃত্যু ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন ও তার পরিবারকে ৩ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয় এবং ফেরিঘাটে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল নিশ্চিত করতে নির্দেশনা চান রিটকারী আইনজীবী।

এছাড়াও রিটে নৌপরিবহন সচিবের নেতৃত্বে ঘটনার তদন্ত, তিতাসের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়। আর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, আইন মন্ত্রণালয় সচিব সহ সংশ্লিষ্টদের এ রিটে বিবাদী করা হয়।