ক্ষতিকর প্লাস্টিকের খেলনার উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেয়া লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনজীবীকে অগ্রগতি অবহিত করেছে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
এক পত্রে বিএসটিআই জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বিদেশি স্বীকৃত রেফারেন্স মান/স্পেসিফিকেশনের আলোকে প্লাস্টিকের খেলনার ওপর জাতীয় মান বা গাইডলাইন প্রণয়ন করা যেতে পারে।
লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণকারী আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন আজ বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিএসটিআই কর্তৃক অগ্রগতি অবহিত করার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী জে আর খাঁন রবিন বলেন, গত ১১ সেপ্টম্বর ক্ষতিকর প্লাস্টিকের খেলনার উৎপাদন, আমদানি ও বাজারজাত বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশ দিয়েছিলাম। এ নোটিশের সূত্র ধরে বুধবার (২ অক্টোবর) আমাকে একটি চিঠি দিয়েছে বিএসটিআই।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্লাস্টিক খেলনার বিষয়ে বাংলাদেশে মান প্রণয়নের জন্য বিএসটিআইতে ‘রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিক’ শিরোনামে একটি শাখা/কারিগরি কমিটি রয়েছে। এই কমিটির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক, আঞ্চলিক ও বিদেশি স্বীকৃত রেফারেন্স মান/স্পেসিফিকেশনের আলোকে প্লাস্টিকের খেলনার ওপর জাতীয় মান/গাইডলাইন প্রণয়ন করা যেতে পারে। এমতবস্থায় ‘রাবার অ্যান্ড প্লাস্টিকস’ শাখা কমিটির সভা শিগগিরই আহ্বান করা হবে। সভার সিদ্ধান্ত যথা সময়ে আপনাকে (আইনজীবী) জানানো হবে।
জে আর খাঁন রবিন বলেন, যদি এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে বিএসটিআই ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় আদেশ জারির নির্দেশনা চেয়ে উচ্চ আদালতের কাছে যাবো।
গত ১১ সেপ্টেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর পর জে আর খাঁন রবিন জানান, নোটিশে নিরাপদ প্লাস্টিকের খেলনার জন্য নীতিমালা করতে বলা হয়েছে। প্লাস্টিকের খেলনা মূলত হালকা ও ভারী প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হয়। এসব প্লাস্টিকে অনেক ধরনের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ থাকে। তাছাড়া প্লাস্টিকের খেলনাকে আকর্ষণীয় করতে নানা রকম ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়।
কখনও কখনও শিশুরা এসব খেলনা মুখে দেয়। এতে প্লাস্টিকের ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ শিশুর শরীরে প্রবেশ করে। এতে ক্যান্সারসহ নানারকম দুরারোগ্য রোগের সৃষ্টি করে।
নোটিশে বলা হয়, পৃথিবীর অনেক দেশে নিরাপদ প্লাস্টিকের খেলনার নীতিমালা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশে কোনো নীতিমালা নেই।