সারাদেশের অধস্তন আদালতের এজলাস/কোর্টরুমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের তথ্য প্রতিবেদন আকারে জরুরি ভিত্তিতে ১০ অক্টোবরের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সারাদেশের অধস্তন আদালতের প্রতি এক অতি জরুরি নোটিশ জারি করেছে। গত ০১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) এ নোটিশ জারি করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ২৯ আগস্টের আদেশ অনুযায়ী দেশের অধস্তন আদালতের সব এজলাস/কোর্টরুমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতি টাঙানো ও সংরক্ষণের বিষয়ে গৃহীত কার্যক্রম আদালতে উপস্থাপনের জন্য সম্পাদিত কার্যক্রমের বিবরণীসহ জাতির পিতার প্রতিকৃতি সম্বলিত এজলাস/কোর্ট কক্ষের ছবি প্রতিবেদন আকারে জরুরি ভিত্তিতে আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে হার্ডকপি ও সফটকপি প্রেরণের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো’।
এদিকে গত ১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতির এজলাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানিয়েছেন- হাইকোর্ট বিভাগের অনেক এজলাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতি টাঙানো হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে বাকি এজলাসগুলোতেও টাঙানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এক আদেশ দেন।
এ আদেশের পর ২৩ সেপ্টেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ থেকে একটি নোটিশ জারি করা হয়েছে। সিনিয়র সহকারী সচিব (প্রশাসন) তৈয়বুল হাসান স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুবীর নন্দী দাসের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৯ আগস্ট বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের বেঞ্চ দেশের সব আদালতের এজলাস/কোর্টরুমে আগামী দুই মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙানো ও সংরক্ষণের নির্দেশনা দিয়েছেন।
এ অবস্থায় অধস্তন আদালতের সব এজলাস/কোর্টরুমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি টাঙানো ও সংরক্ষণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।
চলতি বছরের ২১ আগস্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের মতে, সংবিধানের ৪ (ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সব সরকারি ও আধা-সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনগুলোতে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করতে হবে। এ অনুচ্ছেদ উল্লেখ করে রিটটি করা হয়েছে।
২৯ আগস্ট আদেশের পর সুবীর নন্দী দাস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, দুই মাসের মধ্যে দেশের সব আদালত/এজলাসে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি সংরক্ষণ ও প্রদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। দুই মাস পরে এ আদেশ বাস্তবায়নের প্রতিবেদন দিতে বিবাদীদের নির্দেশ দিয়েছেন।
‘আমরা আদালতে বলেছি, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তাদের জাতির জনকের ছবি অফিস আদালতে রয়েছে। এটার সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’