আমদানি করা ফলে রাসায়নিকের মাত্রা পরীক্ষার জন্য দেশের সকল বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে দেয়া রায় বাস্তবায়নের অগ্রগতি জানাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে আরও দুই সপ্তাহ সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি এফআরএম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
পরে মাহমুদ বাশার জানান, ২০১২ সালে হাইকোর্টের রায় ছিল, যেসব বন্দর দিয়ে ফলমূল আমদানি হয় সেখানে যেন রাসায়নিক পরীক্ষার মাধ্যমে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে মানসম্মত অত্যাধুনিক রাসায়নিক গবেষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে পরীক্ষা করে ফলমূল আমদানি করা হয়। মোংলা বন্দর এবং বেনাপোল বন্দরে রাসায়নিক পরীক্ষাগার রয়েছে তবে সেখান দিয়ে আপাতত ফলমূল আমদানি হয় না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজকে এনবিআরের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছি। আমাদের কিছু রিজনেবল টাইম দরকার। সেটা আমরা প্রার্থনা করেছি। আমরা দুই সপ্তাহ চেয়ে নিয়েছি। দুই সপ্তাহের মধ্যে পরবর্তী কী ধরনের অগ্রগতি রয়েছে বা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে- সেগুলো আমরা আদালতে উপস্থান করব।
এর আগে ২৩ জুন বন্দরে কেমিক্যাল টেস্টিং ইউনিট বসাতে রায় বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ২৫ আগস্ট এনবিআরের পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন দেয়া হয়।
ফলমূলে ক্ষতিকর রাসায়নিকের প্রয়োগ রোধে মানবাধিকার সংগঠন ‘হিউম্যান রাইটস পিস ফর বাংলাদেশ’র (এইচআরপিবি) করা একটি রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০১২ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি রায় দেয়। সেই সাথে এ রিট মামলাটি চলমান রাখা হয়।