ফিটনেসবিহীন গাড়ি নবায়ন না হওয়া পর্যন্ত এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের যানবাহন বা গাড়িতে তেল, গ্যাস ও পেট্রল সরবরাহ না দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ফিটনেসবিহীন প্রায় চার লাখ যানবাহনের ফিটনেস নবায়ন করতে আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক।
এর আগে প্রায় ৫ লাখ গাড়ির মধ্যে হাইকোর্টের বেঁধে দেয়া দুই মাস সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ৮৯ হাজার ২৬৯ গাড়ি ফিটনেস নবায়ন করা হয়েছে বলে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন বাংলাদেশ রোড টান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)।
গত ২৪ জুন ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ি ও লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসহীন ৪ লাখ ৫৮ হাজার ৩৬৯ গাড়ি এবং লাইসেন্স নিয়ে নবায়ন না করা চালকের বিরুদ্ধে বিআরটিএ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাও জানাতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
পরে বিআরটিএ-এর দাখিল করা প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্সধারী ফিটনেসবিহীন গাড়ি চালানোর দায়ে চলতি বছর ছয় কোটি ৭২ লাখ ২৩ হাজার ৩৯২ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া, ৩৯ হাজার ৮৩৭টি মামলা করা হয়েছে। একই সময়ে ফিটনেসবিহীন ২১৪টি গাড়ি ডাম্পিং করা হয়েছে। কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে ৭২৮ চালককে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়ির সংখ্যা চার লাখ ৭৯ হাজার ৩২০টি।
আদালত ওই প্রতিবেদনটি আমলে নিয়ে গত ২৩ জুলাই ঢাকাসহ সারাদেশে লাইসেন্স নিয়ে ফিটনেস নবায়ন না করা গাড়িগুলো দু’মাসের মধ্যে ফিটনেস নবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। গত ১ আগস্ট থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এ নবায়ন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে এই দুই মাস সময়ের মধ্যে সব যানবাহনের লাইসেন্স ও ফিটনেস নবায়ন শেষ না হওয়ায় নতুন করে আরও দুই মাস সময় দিয়েছেন হাইকোর্ট।