ড. মোমতাজ উদ্দিন আহমেদ মেহেদী। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সম্পাদক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি নব্বই দশকের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম চাক্ষুষ সাক্ষী। ১৯৮৭ সালের ১০ নভেম্বর বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সংগঠিত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নূর হোসেন। সেদিনের সেই ভয়াবহ স্মৃতিচারণ করে পুলিশের গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত এই আইনজীবী নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক একাউন্ট থেকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন-
১০ নভেম্বর ৮৭, শহীদ নূর হোসেন দিবস। সেদিন সামরিক স্বৈরাচার বিরোধী ঢাকা অবরোধ কর্মসূচি পালনকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে পুলিশ বৃষ্টির মত গুলি বর্ষন ও লাঠিচার্জ করেছিল। সেদিন নূর হোসেন শহীদ হয়। আমিও গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাত্মক ভাবে আহত হই। রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশ আমাকে গ্রেফতার করে ট্রাকে উঠায়। রক্তক্ষরণে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। আমাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গের সামনে নেওয়া হয়। ডাক্তাররা আমি জীবিত আছি বুঝতে পেরে আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কয়েক দিন চিকিৎসার পর আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করে। কারা হাসপাতালেও চিকিৎসা করা হয়। সেই কঠিন সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ধানমন্ডি বঙ্গবন্ধু ভবনে হাউজ এরেস্ট থাকা অবস্থায়ও সার্বক্ষণিক আমার খোঁজ খবর নিয়েছেন। আড়াই মাস পরে আমি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করি। তখন আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলাম। স্মৃতি অনেক বেদনার।