বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আডভোকেট শ ম রেজাউল করিম

বার কাউন্সিল ভবনের নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ গণপূর্তমন্ত্রীর

দেশের অর্ধলক্ষ আইনজীবীর একমাত্র লাইসেন্সিং ও রেগুলেটরি বডি বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এর ফাউন্ডেশনের ম্যাট ঢালাইয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ম্যাট ঢালাইয়ের কাজ পরিদর্শন করেছেন এবং এর গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন।

দীর্ঘ প্রায় ৪৫ বছর পর নির্মিত হচ্ছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নতুন ভবন। দুটি বেইজমেন্টসহ নতুন ভবনটি হবে ১৫ তলাবিশিষ্ট। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত ভবনটি নির্মাণে ১১৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয় হবে। ভবনটিতে বার কাউন্সিলের কাজ ছাড়াও আইনজীবী ও বিচারকদের ব্যক্তিগত নথি সংরক্ষণ ও অ্যাডভোকেটশিপ সনদ পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হবে। ভবনটি নির্মিত হলে আইনজীবীদের বিচারের জন্য গঠিত পাঁচটি ট্রাইব্যুনালের বিচার কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দাফতরিক স্থানের সংস্থানও হবে। এতে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী ও বিচারকদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

শুক্রবার সরকারি ছুটির দিনে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনে আসেন বার কাউন্সিলের দু’দুবারের নির্বাচিত সদস্য ও বর্তমানে ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান ও নির্মাণ কাজ বাস্তবায়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আডভোকেট শ ম রেজাউল করিম। এ সময়ে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মেট্টো জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খালেদ হোসেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মাহাবুবুর রহমান, আনোয়র হোসেন ছাড়াও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কুশলী’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিক আহমেদ।মন্ত্রী এ সময়ে ঘুরে ঘুরে পুরো নির্মাণ কাজ দেখেন এবং খুটিনাটি নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী জানান, এই প্রথম কোনো পেশাজীবী প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণের পুরো টাকাই সরকার দিচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত আগ্রহের কারণেই সরকারি অর্থে বার কাউন্সিলের ভবন নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। মন্ত্রী সর্বোচ্চ গুনগত মান অক্ষুন্ন রেখে কাজ করতে প্রকৌশলীদের নির্দেশ দেন।

এ সময়ে মন্ত্রীকে জানানো হয়, প্রকল্পের নির্ধারিত সময় ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর হলেও এর আগেই এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হবে।

৮৩৬ দশমিক ১২ বর্গমিটার আয়তনের দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবনের মোট আয়তন হবে ১৩ হাজার ৬৪৪ দশমিক ৩৭ বর্গমিটার। সীমানা প্রাচীর হবে ১৯৩ দশমিক ৬০ বর্গমিটার। ১০০০ কেভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মিত হবে একটি। পুরো ভবন জুড়ে থাকবে তিনটি লিফট।