অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা, একজন তরুণ আইনজীবী। বাবা-মা দু’জনেই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের প্রথিতযশা আইনজীবী। সম্প্রতি তিনি ‘গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার’ প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য ‘দক্ষিণ এশিয়া ইয়ুথ লিডার লিডারশিপ এ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পদকে ভূষিত হন।
ফারহানা রেজা আইনজীবী হিসেবে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের একজন কৌসুলি হিসেবে কাজ করেছেন এবং উক্ত মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমানের নির্দেশে তার নেতৃত্বে এক ঝাক তরুণ আইনজীবী নিয়ে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জঙ্গী সংগঠনের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার কার্যক্রম পরিচালনায় আদালতকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে পেশাগত দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছেন।
এছাড়াও তিনি বহু মামলায় আইনজীবী হিসেবে বিচারপ্রার্থী মানুষের অধিকার রক্ষায় ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আইনজীবী পরিচয়ের পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নারীর অধিকার রক্ষা ও সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। এই সকল তরুণ নেতৃত্বের হাত ধরেই দেশ একদিন পৌঁছে যাবে উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশের কাতারে।
সম্প্রতি হোটেল সোনারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মুক্তিযোদ্ধাবিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হকের কাছ থেকে অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজা পদক গ্রহণ করছেন।
অ্যাডভোকেট ফারহানা রেজার বাবা অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি, ১/১১ এ শেখ হাসিনার অন্যতম আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য।
আর ফারহানার মা অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সম্মুখ সারির একজন যোদ্ধা ছিলেন। তিনি গণপরিষদের এমএলএ ছিলেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান।