ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেছে। ভোটকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্টার ও ফেস্টুন টানাচ্ছেন ওয়ার্ড ও নগরের সম্ভাব্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে সিটি করপোরেশন নির্বাচন হবে। আর সম্ভাব্য সে নির্বাচনকে ঘিরে পুরোদমে সরব হয়ে উঠতে শুরু করেছে চায়ের টেবিল। ভোটের আমেজে এবার চাঙ্গা হবে শীতের আবহ।
এদিকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থী দেয়ার পরিকল্পনা করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট। যদিও জোটের দুই শরিক- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আলাদাভাবে নির্বাচনের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে জোটের পক্ষ থেকে সর্বসম্মতভাবে একক প্রার্থীকে সমর্থন দেয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন জোট সংশ্লিষ্টরা।
তবে নির্বাচনে যদি কোনো কারণে বিএনপি অংশ না নেয়, সেক্ষেত্রে হিসাব-নিকাশ ভিন্ন হতে পারে বলে আভাস দিয়েছেন জোটভুক্ত নেতারা। তাদের মতে, প্রার্থীর সংখ্যা বেশি দেখাতে দলগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সম্ভাবনা আছে শরিকদের। তবে বিএনপি নির্বাচনে আসবে- এমনটা ধরেই সব প্রস্তুতি নিচ্ছে ১৪ দলীয় জোট।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে পুরনো প্রার্থীদের পাশাপাশি আলোচনায় আসছেন বেশ কয়েকজন নতুন প্রার্থী। বিশেষ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী দৌড়ে এগিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যকরী নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু। তিনি ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে মনোনয়ন চাইবেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে ১/১১ এর নেত্রী মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা নজীবউল্লাহ্ হিরুকে নিয়েই আলোচনা হচ্ছে সব থেকে বেশি।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ও লিগ্যাল এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট কাজী নজীবউল্লাহ্ হিরু ইতিপূর্বে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
কাজী নজিবউল্লাহ্ হিরু পুরাণ ঢাকার ছেলে। ঢাকা দক্ষিনের মেয়র প্রার্থী হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমার রাজনীতি শুধু আওয়ামী লীগের জন্যই। দলের জন্য জীবনে অনেক ত্যাগ স্বীকার করছি, জেল খেটেছি। প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) যা ভালো মনে করেন, তাই হবে। আজ আমি হিরু হয়েছি উনার জন্যই। তাঁর সিদ্ধান্তই আমার এগিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত’।
প্রসঙ্গত, ঢাকার দুই সিটিতে জানুয়ারির মাঝামাঝি বা শেষের দিকে ভোটগ্রহণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর। চলতি ভোটার তালিকা দিয়ে ইভিএমের মাধ্যমে এই দুই সিটিতে ভোটগ্রহণ করা হবে।