কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এজলাসে দলটির আইনজীবীদের হট্টগোলের ঘটনা তদন্ত এবং যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলসহ তিনজনকে রোববার (৮ ডিসেম্বর) লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছিলেন অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নিলু। তবে ওই আইনজীবীর এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকে নোটিশ পাঠিয়েছেন আরেক আইনজীবী।
এর আগে খালেদার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে হট্টগোলকারী আইনজীবীদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থা নিতে রোববার বিকেলে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নোটিশ পাঠানোর কয়েক ঘণ্টা পর বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী আইনজীবী এস এম জুলফিকার আলী পাল্টা আইনি নোটিশ পাঠান।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে হট্টগোলের ঘটনায় আইনজীবী রাশিদা চৌধুরী নিলুর নোটিশ পাঠানোর কোনো আইনগত বৈধতা আছে কিনা এবং সুপ্রিম কোর্টের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আইনি নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবীর বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার অভিযোগ আনা হবে না- নোটিশে তা জানতে চাওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘যেহেতু আপিল বিভাগ সরাসরি প্রধান বিচারপতি পরিচালনা করেন, সেহেতু আপিল বিভাগের এজলাসে সংগঠিত যেকোনো বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের এখতিয়ার সরাসরি প্রধান বিচারপতি রাখেন। অতএব প্রধান বিচারপতির এজলাসে সংগঠিত কোনো বিষয় নিয়ে ব্যবস্থা নিতে আপনি একজন আইনজীবী হয়ে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করার কোনো এখতিয়ার রাখেন না। আপনার এ নোটিশ কেন এখতিয়ার বর্হিভূত হবে না, কেন আদালত অবমাননার শামিল হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জানানোর অনুরোধ জানালো হলো।’
উল্লেখ্য, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের আপিল শুনানির দিন ধার্য ছিল ৫ ডিসেম্বর। কিন্তু খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের সবশেষ অবস্থা জানিয়ে আদালতের নির্দেশিত মেডিক্যাল রিপোর্ট দিতে রাষ্ট্রপক্ষ ব্যর্থ হলে ওই শুনানি পিছিয়ে ১২ ডিসেম্বর ধার্য করেন আদালত। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে টানা তিন ঘণ্টা অবস্থান নেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা। তারা হট্টগোল বাঁধিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। ঘটনাটিকে ‘নজিরবিহীন’ বলে উল্লেখ করেন খোদ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।