সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

বিচারের দাবি এবং রাষ্ট্রের স্বভাব-চরিত্র

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী:

জগৎসংসারে বাদীর সংখ্যাই বেশি, বিবাদীর তুলনায়। বিবাদীরাও আবার বাদী হয়, ঘটনাক্রমে। কারণ সংসার অন্যায়ে ভরপুর। সব বাদী আদালতে যায় না, অনেকেই অন্যায় মুখ বুজে সহ্য করে, কেউ কেউ আশা করে প্রকৃতির কিংবা পরকালের বিচারের ওপর। হয়তো এমনও ভাবে যে, এক দিন তারও সুযোগ আসবে। প্রতিহিংসার রক্তাক্ত ঘটনা আগেও ঘটেছে, এখনও ঘটে। লোকে আদালতে যেতে চায় না। কারণ জায়গাটা রহস্যময়, সেখানকার তৎপরতা আদৌ নির্ভরযোগ্য নয়; সেখানে যাওয়াটা কঠিন আর একবার ঢুকলে বের হয়ে আসাটা যে সহজ, তাও নয়। তাছাড়া আদালত নিষ্ঠুরও হয়, কতটা যে নিষ্ঠুর হতে পারে টের পায় তা ভুক্তভোগী। বিশেষ করে রাষ্ট্র যদি প্রতিপক্ষ হয়। বিচারালয়কে বলা হয় অন্ধ। অর্থাৎ নিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন। তার হাতে যে দাঁড়িপাল্লা আছে, দু’দিক তার কাছে সমান সমান। কোন দিকে যে ঝুঁকবে নির্ভর করবে তথ্য-প্রমাণ, আইনকানুন, যুক্তিতর্ক ইত্যাদির ওপর। বলা হয়, আইনের শাসন যেখানে শেষ, অত্যাচারের সেখানে শুরু। অথচ সাহিত্যে, চলচ্চিত্রে, ইতিহাসে, বাস্তব জীবনে ঘন ঘন শোনা যায় বিচারের জন্য আর্তকণ্ঠে প্রার্থনা। কানে বাজে আদালতের প্রতি উচ্চারিত ধিক্কার ধ্বনি। মামলায় মীমাংসা যত না ঘটে, তার চেয়ে অনেক অনেক অধিক ঘটে হারজিত। হারে যে সেও জিততে চায়। পারলে পাল্টা মামলা করে। আদালতে স্তূপ হয়ে পড়ে থাকে বিচারাধীন মামলার নথিপত্র।

আইন ও বিচারের সঙ্গে রাষ্ট্র অত্যন্ত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। সামাজিক আইন, বিধিনিষেধ এসব আছে; কিন্তু সেগুলো সবসময় কার্যকর হয় না, কার্যকর করাটা কঠিনও। রাষ্ট্রীয় আইনই হলো আসল আইন। কারণ রাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ক্ষমতা। এ ক্ষমতা যাতে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে তার তৎপরতা চালাতে পারে, সে জন্য আধুনিক ‘গণতান্ত্রিক’ রাষ্ট্রে তিনটি বিভাগ খোলা হয়েছে- আইন বিভাগ, শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ। তিন বিভাগকে তিন অঙ্গই বলা হয়। বিচার বিভাগ চোখ রাখবে প্রয়োগ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা সেদিকে, আইনের অপপ্রয়োগ হলে সে থামিয়ে দেবে। আইনের ব্যাখ্যা, তার ভেতরকার অভিপ্রায়, এসব বলে দেবে। তিন অঙ্গের মধ্যে শাসন বিভাগই সর্বাধিক ক্ষমতাবান। কারণ তার হাতে বিভিন্ন বাহিনী আছে, রয়েছে রাষ্ট্রীয় তহবিল, আমলাতন্ত্র, মজুদ রয়েছে আইনও। আইনকানুন রাষ্ট্রের শাসক যারা, তারাই তৈরি করে; নিজেদের স্বার্থে। আর্থিক ব্যবস্থার ওপরও থাকে তাদের কর্তৃত্ব। শাসন বিভাগ যেহেতু খুবই ক্ষমতাবান, তাই বিচার বিভাগের দায়িত্ব থাকে আইনের অপপ্রয়োগের হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করার; শাসন বিভাগের সঙ্গে আইন প্রণয়ন বিভাগের বিরোধ বাধলে মীমাংসা করে দেওয়ার, আইন প্রয়োগের পরিসর নির্ধারণ করে দিতে প্রস্তুত থাকার, সর্বোপরি নালিশ এলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার। সবই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব এবং বিচার বিভাগ যদি এসব দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তো সমাজ চলবে না, জঙ্গলে পরিণত হবে, জোর যার মুল্লুক তার-এর আদিম নীতির প্রতিষ্ঠা ঘটবে। আইনের শাসন মানেই যে ন্যায়বিচার তা মোটেই নয়, আইন তার প্রণেতাদের স্বার্থ দেখে, আইনের চাপে ন্যায় বিপর্যস্ত পর্যন্ত হয়; কিন্তু আইনের ওই শাসনটুকুও বহাল রাখতে হলে যে আদালতের দরকার, সেটা না বোঝার কোনো কারণ নেই।

ওদিকে আমরা তো দেখতে পাই যে, আদালতে যেতে হলে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়। কোর্ট ফি লাগে, উকিল চাই, সাক্ষী-সাবুদ দরকার পড়ে, কাগজপত্র, নথি-দলিল সাজাতে হয়, তারপর একবার আদালতে ঢুকলে কবে যে বের হওয়া যাবে, তা অনিশ্চিতই থেকে যায়। উকিল ও বিচারক উভয়েই কালো পোশাক পরে থাকেন; যেন ভয় দেখাচ্ছেন আইন ভঙ্গকারীদের; কিন্তু ভয় পেয়ে যায় বিচারপ্রার্থীরাও। এমনকি ন্যায়বিচার পেলেও এমন শঙ্কা থাকে যে, প্রতিপক্ষ আরও উচ্চ আদালতে রওনা দেবে। টাকার জোর থাকলে তো রওনা দেবেই। টাকার জোরটা অন্যত্র যেমন, এখানেও তেমনি আস্ত ও মস্ত। উকিল সাহেবরা টাকা ছাড়া এক পা নড়েন না। তারা ন্যায়-অন্যায় চেনেন না, টাকা চেনেন। আদালত নিজেও যে টাকার স্পর্শ এড়াতে পারবে এ বিষয়েও নিশ্চিত হওয়ার উপায় নেই। খুব বড় মাপের দার্শনিক ও লেখক ছিলেন ফ্রান্সিস বেকন। ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বিচারকের আসন পেয়েছিলেন তিনি একসময়। ঠিক সেই সময়ই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল উৎকোচ গ্রহণের। বিচারে তার কারাদণ্ড হয় এবং পরে তিনি স্বীকারও করেন যে, বিচারটা ন্যায়সঙ্গতই ছিল। অত বড় দার্শনিকই যদি উৎকোচের লোভ সংবরণ করতে অপারগ হন, তবে আইনের শাসনের ব্যাপারে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত না হয়ে উপায় কী? আইনের হাত বেশ শক্ত ও বহুদূর প্রসারিত; কিন্তু বিচারের হাত আইনের হাতের কাছে হার মানে নানা কারণে। বিচার বিভাগের জন্য সেটা লজ্জার ও দুঃখের, ভুক্তভোগীদের জন্য চরম হতাশার। নাগরিকরা আইন দ্বারা সুরক্ষিত এমনটা বলা হয়, সুরক্ষা পেলে খুবই ভালো হতো; কিন্তু প্রায়শ পাওয়া যায় না। আমাদের দেশে আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরীহ মানুষের বুকে সাহস তো জোগায়ই না, উল্টো হূৎকম্পের সৃষ্টি করে। পুলিশের পদধূলি আশার নয়, আতঙ্কেরই কারণ হয়। আর এটা তো সাধারণ অভিজ্ঞতা যে, রাষ্ট্র যখন ‘জননিরাপত্তা’ আইন প্রয়োগ করে, জনতা তখন প্রমাদ গোনে। ওদিকে যত বাড়ে অপরাধ, তত বাড়ে পুলিশের দাম। রাষ্ট্র তার নিজের আইন নিজেই ভঙ্গ করছে, এমন নজির কম হলে ভালো হতো। হয় না। বিচার বিভাগের কর্তব্য হলো শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা; কিন্তু বিচার বিভাগ যে সর্বদা সে কর্তব্য পালন করে এমন নয়। পারে না। হার মানে। অন্যায়ের সংখ্যা অনেক বেশি; তা ছাড়া বিচারকরা নিজেরাই তো নিয়োগ পেয়ে থাকেন শাসন বিভাগের সদিচ্ছাতেই; তাদের পদোন্নতিও শাসনকর্তাদের হাতেই। স্বাধীন ও বিচার বিভাগ গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ- এমন কথা বইতে পড়ি, বিশ্বাস করতেও ভালোবাসি; কিন্তু কর্মক্ষেত্রে যাকে দেখতে পাই, সে অত্যন্ত দুর্বল। তাছাড়া পুঁজিবাদী ব্যবস্থাতে তো সবকিছুরই স্বাভাবিক গতিটা হচ্ছে পণ্য হওয়ার দিকে। বিচার বিভাগই-বা পণ্য-সংস্কৃতির বাইরে যায় কী করে? যায় না, যাচ্ছে না।

আর কেবল এখন তো নয়, সব যুগেই অবিচার সত্য ছিল। প্রবল সর্বদাই দুর্বলের ওপর অত্যাচার করেছে, যে জন্য প্রতিহিংসা এবং আত্মহত্যা দুটিই ঘটেছে, এখনও ঘটছে। শেকস্‌পিয়রের সেই বিষণ্ন রাজকুমার হ্যামলেট অস্থির ছিল অন্যায়ের পীড়াতে। প্রতিকার চাইবে কার কাছে? রাজার কাছে? রাজা নিজেই তো সবচেয়ে বড় অপরাধী। প্রতিহিংসার কথা হ্যামলেট ভেবেছে; কিন্তু একজন অপরাধীকে হত্যা করলেই তো অন্যায়ের শেষ হবে না। ভাবুক স্বভাবের যুবক সে, দেখতে পেয়েছে অন্যায় সর্বত্রব্যাপী; পচন ধরেছে রাজ্যে এবং ময়দানে প্রতিকারের সে সম্পূর্ণ একা, একেবারে নিঃসঙ্গ! তার হাতের অন্যায়ের তালিকাটা দীর্ঘ। সে তালিকায় অনেক কিছুই রয়েছে। আছে ‘আইনের বিলম্ব’ও। ওই জিনিসটাও সত্য। আইন বিলম্ব করে। ন্যায়বিচারের আরও অনেক সমস্যা আছে, যার খবর শেকস্‌পিয়রের নাটকেই পাওয়া যাবে। যেমন তার মেজার ফর মেজার নাটকে। সেখানে তরুণ এক বিচারককে দেখা যাচ্ছে অত্যন্ত ‘ন্যায়পরায়ণ’ ব্যক্তি হিসেবে। আইন ছাড়া কিছু বোঝে না। আইনের বিধান অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে চায়। কিন্তু তার আদালতে তরুণী নায়িকা এসে বিচার প্রার্থনা করলে আদালতে বসেই সে ইঙ্গিত করে যে, ঘুষ দিতে হবে আর সেই ঘুষ অন্য কিছু নয়, নায়িকার সল্ফ্ভ্রম বটে। শেকস্‌পিয়রের আরেক নাটক মার্চেন্ট অব ভেনিস; সেখানে প্রতিহিংসাপরায়ণ সাইলক তার প্রতিপক্ষ এক ব্যবসায়ীর গা থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিতে উদ্যত হয়েছিল। কেননা বিচারে সেটাই তার প্রাপ্য। অসহায় বিচারক আইনানুগ বিচারের পক্ষে রায় দিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। বিপন্ন ব্যবসায়ীটির প্রাণ বাঁচাল এক তরুণ আইনজীবী। আসলে সে আইনজীবী নয় মোটেই, তীক্ষষ্ট বুদ্ধিসম্পন্ন নায়িকা, নাটকের। আইনজীবীর ছদ্মবেশে এসেছে। সে দেখাল, চুক্তির শর্ত অনুযায়ী সাইলক এক পাউন্ড মাংস পাবে ঠিকই; কিন্তু একফোঁটা রক্তও ঝরাতে পারবে না। আইনের ওই ব্যাখ্যাতেই বিপন্ন ব্যবসায়ী প্রাণে বাঁচল।

এ রকমের দক্ষ আইনজীবী যে বাস্তব ক্ষেত্রে পাওয়া যায় না এমন নয়। বাদীকে সাহায্য করার জন্য দক্ষ উকিল সাহেবরা আছেন। তারা সদাপ্রস্তুত, এক পায়ে খাড়া। কিন্তু তারা বাদীর যেমন, তেমনি বিবাদীরও। ‘আগে এলে আগে পাবে’র নিয়ম তো রয়েছেই; তদুপরি যার পকেটে টাকা অধিক অগ্রাধিকার তারই- এই নিয়মটাও চালু। উকিলরা নিজেরাই বলেন যে, তারা আইনজীবী, আইনই তাদের জীবিকা, তাদেরকে আইন ব্যবসায়ীও বলা হয়। বললে তারা যে তাতে অত্যন্ত অপমানিত বোধ করেন এমন নয়। কখনোই তারা দাবি করেন না যে তারা সেবক অথবা চিকিৎসক। চিকিৎসকের কাজ রোগ সারানো; বিপন্ন রোগীকে সাহায্য করার সুযোগে চিকিৎসকরা যদি টাকা হাতিয়ে নিতে পারেন, তবে আইনজীবীরা কেন ভিন্ন আচরণ করবেন? মামলায় জিত হোক কিংবা হার হোক, তাতে কি যায় আসে? উকিলের কাজ ওকালতি করা, বিচার যা করার করবেন আদালত। উকিলরা হচ্ছেন কৌশলী; ওই নামে তাদের ডাকাও হয়, তারা নিজেরাও ওই নাম ব্যবহার করেন। কৌশলী হিসেবে কৌশল প্রয়োগ করেন মক্কেলকে জিতিয়ে দিতে; বলেন বিচারককে সাহায্য করছেন, আসলে যা করেন তা সাহায্য করা নয়, প্রভাবিত করা। পারলে বোকা বানানো। নিশানাটা প্রতিপক্ষের যিনি কৌশলী তিনি নন, নিশানাটা স্বয়ং বিচারক এবং মক্কেলও। মক্কেলকে বোঝানো চাই যে, কৌশলী যেসব কৌশল প্রয়োগ করছেন তা অসাধারণ। বোঝাতে পারলে আরও মক্কেল জুটবে এবং চাহিদা বাড়লে দাম চড়বে।

আইন কি গাধা? এ প্রশ্ন যখন ওঠে, তখন পেছনে এমন জ্ঞান হয়তো থাকে যে আইনকে গাধা বানানো যায়, এমনকি তাকে ভারবাহী পশুতে পরিণত করাও চলে। আদালতে ওই দুই চেষ্টা সমানে চলতে থাকে। আদালতের কালো পোশাকে বিচারপ্রার্থীদের বুক কাঁপে। আর আদালতের ভাষা? বাংলাদেশে উচ্চ আদালতের ভাষা আজও কেন বাংলা হলো না- এ কথা বলতে বলতে আমাদের গলায় ব্যথা ধরে গেছে। না হওয়ার একটা কারণ হয়তো বহুদিনের অভ্যাস এবং ঔপনিবেশিক ঐতিহ্য। অন্য একটা কারণ কিন্তু বিচারপ্রার্থীদের কাছে দুর্বোধ্য থাকা। যত দুর্বোধ্য থাকা যাবে, ততই দাম বাড়বে, চিকিৎসার ক্ষেত্রে যেমনটা ঘটে, ঘটে ধর্মের শাস্ত্রীয় অনুষ্ঠানের বেলাতে। উচ্চ আদালতের ভাষা যদি বাংলাও হয়, তবে সে বাংলা সাধারণ মানুষের মুখের ভাষার মতো সরল হবে এমন আশায় জলাঞ্জলি দিয়ে রাখাটাই ভালো। আদালতের ভাষা আদালতের পোশাকের মতোই অন্ধকারাচ্ছন্ন থাকতে পছন্দ করে, রহস্যময় হয়ে থাকতে চায়, সহজবোধ্য হতে তার দারুণ অনিচ্ছা, পাছে সে সহজলভ্য হয়ে পড়ে, আইন ব্যবসায় বিপর্যস্ত হয়; উকিল, মোক্তার পাইক-পেয়াদা এবং বিচারকরা সবাই তাদের ‘অসাধারণত্বটা’ খুইয়ে ফেলেন। আইন ঘোরপ্যাঁচের ব্যাপার, সে যে গাধা নয় সেটা প্রমাণ করতে চায় বিচারপ্রার্থীদের গাধা বানিয়ে, বাঙালকে হাইকোর্ট দেখিয়ে। এ রকমের কথা তো চালুই আছে যে, আইনজীবীর হাতে পড়াটা পুলিশের হাতে পড়ার চাইতেও বিপজ্জনক; পুলিশ আইন দেখালে হয়তো ছেড়ে দেবে; কিন্তু আইনজীবী মক্কেলকে আইন দেখিয়ে লড়াইয়ের ময়দান থেকে সহজে সরতে দেবে না। উদ্বুদ্ধ করতেই থাকবে।

এ ব্যাপারে দু’পক্ষের আইনজীবীদের ভেতর একটি অলিখিত পেশাগত চুক্তিই রয়েছে, যে চুক্তি মোটেই বেআইনি নয়, পুরোপুরি আইনসম্মত।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও সমাজ বিশ্নেষক