ঘুষের টাকাসহ আটক সার্ভেয়ার রিমান্ডে
রিমান্ড

ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ সদস্য রিমান্ডে

ভারতে তথ্য পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার পুলিশ সদস্য দেবপ্রসাদ সাহার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে তাকে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশের ১০ দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক সাইফুদ্দিন হুসাইন তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেব প্রসাদ সাহা খুলনার তেরখাদা উপজেলা সদরের সুরেন্দ্রনাথ সাহার ছেলে।

১৭ ডিসেম্বর সকালে যশোরের বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ দেবপ্রসাদ সাহাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে।

এর আগে গত ১৫ ডিসেম্বর বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান তার বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান জানান, ১৭ ডিসেম্বর দেবপ্রসাদ সাহাকে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক ১৯ ডিসেম্বর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেব প্রসাদ সাহা ঢাকার উত্তরা ১ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত বেনাপোল অভিবাসন বিভাগে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি যখন-তখন নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে যাওয়া আসা করতেন। বেনাপোলে দায়িত্ব পালনকালে বিশেষ বাহিনীর দুজন সদস্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক হয়। ওই দুজন মাঝেমধ্যে ভারতে গিয়ে এস চক্রবর্তী ও পিন্টু নামে দুজনের কাছে বাংলাদেশের গোপনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচার করতেন।

২০১৮ সালের শেষের দিকে দেব প্রসাদ সাহা বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত একটি পেনড্রাইভ নোম্যান্সল্যান্ড অতিক্রম করে ভারতে পাচার করেন। এর ১৫ দিন পর তিনি বিশেষ বাহিনীর এক সদস্যের কাছ থেকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংবলিত পেনড্রাইভ এনে ভারতের এস চক্রবর্তী ও পিন্টুর কাছে হস্তান্তর করেন।

গত ২৫ অক্টোবর ঢাকার কমলাপুরের একটি হোটেল থেকে ডিজিএফআই ও র‌্যাবের হাতে সৈনিক শাহানেওয়াজ শাহিন আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করা হয়। তিনি ভারতে তথ্য পাচারের বেশ কিছু বিষয় জানান। পরে পুলিশ হেড কোয়ার্টারস তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয়টি অনুসন্ধানে নামে। তদন্তে কথোপকথনের ভিডিও সিডির মাধ্যমে ভারত-বাংলাদেশে তথ্য পাচারের বিষয়টি উঠে আসে।

যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাচারের মামলায় দেব প্রসাদ সাহাকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়। রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। আমরা তাকে রিমান্ডে নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করবো।’