মায়ের স্বাক্ষরকে জাল করে সম্পত্তি লিখে নেয়ার অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলায় ছেলেকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছ রাজশাহীর একটি আদালত। পাশাপাশি পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার বুধবার (৮ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন।
দণ্ডিত আসামি আব্দুর রউফ (৫৯) জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার সেখের পাড়া হাজী সুন্নাত আলীর ছেলে। এ মামলায় বাকী আসামীদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য প্রমাণ না থাকায় তাদেরকে খালাস প্রদান করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০০৮ সালের ১৯ আগস্ট বাদীর মাতা সায়েদা বেওয়ার ৫৪ শতক জমি গোদাগাড়ী সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে ৬৪০৪ হেবাবিল এওয়াজ দলিল মূলে বাদীর আপন ভাই জাল দলিল তৈরি করে নিজ নামে লিখে নেন। প্রকৃতপক্ষে উক্ত সম্পতিটি বাদীনির মাতা তার বড় ছেলে আব্দুর রউফ বরাবর হস্তান্তর করেননি। আসামী জাল দলিল মূলে সম্পত্তি দাবী করলে বাদীপক্ষ সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে, আসামী উক্ত দলিলটি তার মাকে দাতা দেখিয়ে নিজ নামে করে নিয়েছে।
মায়ের সম্পত্তি জাল দলিল মূলে লিখে নেওয়ার কারণে বোন ফাতেমা খাতুন সালেহা তার বড় ভাই, ভায়ের শ্যালক মহাদেবপুর কাকনহাটের নেসার উদ্দিনের পুত্র নাজমুল, দলিলের সনাক্তকারী রফিক উদ্দিন সরদার ও দলিল লেখক আকরাম আলীদের বিরুদ্ধে রাজশাহীর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জাল দলিল ও প্রতারণার অভিযোগে ২০১১ সালের ১৬ মার্চ একটি মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ শুনানি, যুক্তিতর্ক ও পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে জনাকীর্ণ আদালতে বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেন।